রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৫৩ অপরাহ্ন

মধ্যরাত থেকে নিষেধাজ্ঞা শেষ;মাছ শিকারে সমুদ্রে ছুটছে উপকুলের জেলে।

রিপোটারের / ৩৯৩ বার পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : সোমবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২১

এম এইচ শান্তন,বাগেরহাট প্রতিনিধি:সমুদ্রে মৎস্য সম্পদের মজুদ বাড়ানোর লক্ষ্যে ও নিরাপদে ইলিশের প্রজনন রক্ষায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে সোমবার (২৫ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে নদী ও সাগরে ইলিশ শিকারের জন্য নদীতে ছুটছে মোংলা ও সুন্দরবন উপকূলের জেলেরা। দীর্ঘ বিরতি শেষে আবারও সমুদ্র মাছ ধরতে যেতে পাড়ায় হাসি ফুটেছে জেলেদের মুখে।

উল্লেখ্য, গত ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ২২ দেশব্যাপী ইলিশ আহরণ, বিপণন, ক্রয়-বিক্রয়, পরিবহন, মজুত ও বিনিময় নিষিদ্ধ করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রনালয়। সোমবার (২৫ অক্টোবর) মধ্যরাতে শেষ হয় সরকার ঘোষিত ২২ দিনের এ নিষেধাজ্ঞা।

মোংলা উপজেলার জয়মনি, চিলা, কানাইনগর এলাকার প্রায় ৮ শতাধিক জেলে গভীর সাগরে মাছ ধরেই জীবিকা নির্বাহ করেন। তাই জীবিকার তাগিদে ঝড়-বৃষ্টি অপেক্ষা করে গভীর সাগরে ট্রলারে মাছ শিকারে যান তারা।

ইতোমধ্যে নদীতে মাছ ধরা জন্য জেলেরা তাদের নৌকা মেরামতের পাশাপাশি পুরনো জাল সেলাইও করে নিয়েছেন। জীবিকার তাগিদে রুপালী ইলিশের সন্ধানে ব্যাস্ত উপকূলের জেলেরা

জীবিকার তাগিদে জীবনের ঝুকি নিয়ে এসব জেলেরা দিনের পর দিন কাটায় গভীর সাগরের বুকে। ইলিশ মৌসুমের প্রথম ধাপে জেলে ও ফিশিং বোট মালিকেরা সকলেই আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তাদের প্রত্যাশা নিষেধাজ্ঞার ফলে আগের চেয়ে সাগরে বেশি মাছ মিলবে। তবে জেলেদের ধারণা ভারতীয় ট্রলার যদি অনুপ্রবেশ না করে তাহলে হয়তো গতবারের ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারবে।

জেলে সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ হাওলাদার বলেন, বিগত বছরের চেয়ে এবার বৃষ্টি কিছুটা বেশি হয়েছে, তবে সাগর ছেড়ে অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর দিকে ইলিশের ঝাঁক আসার মতো পর্যাপ্ত বৃষ্টি হয়নি। যে কারণে নদ-নদীতে এবছর ইলিশের কিছুটা আকাল দেখা দিয়েছে।

অপরদিকে নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সময়ে ভিনদেশী জেলেরা এদেশের সাগরের মাছ ধরে নিয়ে যাচ্ছেন এমন অভিযোগ করেছেন মোংলার স্থানীয় জেলেরা। এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম বলেন, জেলেদের অভিযোগ সঠিক। এ বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখার জন্য নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ডের সাথে আলাপ হয়েছে। তারা বিষয়টি দেখছেন। এবং আমরা কোস্ট গার্ডের সাথে যৌথ অভিযান পরিচালনা করছি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমলেশ মজুমদার বলেন, আমাদের সমুদ্রসীমায় কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর টহল বাড়ানোরা জন্য ইতিমধ্যে চিঠি দেয়া হয়েছে। তারপরও যারা এদেশের সাগরে যখনই ঢুকছেন তখনই তাদেরকে ধরে এনে পুলিশে সোপর্দ করছেন নৌবাহিনী -কোস্ট গার্ড সদস্যরা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর