উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় খালেদা পারভীন(৩০) নামের এক স্বামীপরিত্যক্তা গৃহবধূকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ।এ ঘটনায় ধর্ষক মাজেদুল ইসলাম(বাবু)কে গ্রামবাসী আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন।
স্বামীপরিত্যক্তা গৃহবধূকে বিয়ের প্রলোভনে একাধিকবার ধর্ষণ করেন আটক মাজেদুল। আটক পুলিশ কনস্টেবল মাজেদুল ইসলাম উপজেলার পঞ্চক্রোশী ইউনিয়নের ভদ্রকোল পূর্বপাড়া গ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে। বর্তমানে তিনি গুলশান-২ থানায় পুলিশ কনস্টেবল হিসাবে কর্মরর্ত আছেন। তার বিপি নং- ৯৪১৫২১৭৯৯৮।
উপজেলার মনিরপুর গ্রামের আব্দুল খালেকের মেয়ে খালেদা পারভীন (৩০) শুক্রবার উল্লাপাড়া মডেল থানায় দেওয়া অভিযোগপত্রে বলেন, ১২ বছর আগে ভদ্রকোল গ্রামের শাজাহান আলীর ছেলে আমিনুল ইসলামের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের একটি পুত্র সন্তান জন্ম নেয়। কিন্তু বিয়ের কয়েক বছর পর থেকে প্রতিবেশী পুলিশ কনস্টেবল মাজেদুল ইসলাম খালেদাকে বিয়ে করার জন্য নানাভাবে প্রস্তাব ও প্রলোভন দেন। এক পর্যায়ে স্বামী আমিনুল ইসলামকে তালাক দেয় খালেদা। এরপর খালেদা তার বাবার বাড়ি চলে যান।
মাজেদুল ইসলাম তালাকের পর থেকে ছুটিতে বাড়িতে এসে নিয়মিত খালেদার সঙ্গে যোগাযোগ করে তাকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে অনেক বার ধর্ষণ করেন। মাঝে কিছুদিন ঢাকা গাজীপুরে এক বাসা ভাড়া করে বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে নানা কৌশলে খালেদাকে বাসায় নিয়ে স্বামীস্ত্রীর বসবাস করে। পরে তিনি আমাকে বিয়ে না করে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। অবশেষে গত ২১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার মাজেদুল রাত ৯ টার সময় খালেদার বাবার বাড়িতে গিয়ে তাকে ফুসলিয়ে ধর্ষণ করে।
কাজ শেরে মাজেদুল ইসলাম ঘর থেকে রাত ১২ টার দিকে বের হয়ে চলে আসার সময় খালেদা মাজেদুলের মনোভাব বুঝে চিৎকার করলে বাড়ির লোকজন তাকে আটক করে। পরে উল্লাপাড়া থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে আসে। থানায় দেওয়া অভিযোগে খালেদা পারভীন এই ঘটনার উপযুক্ত বিচারের দাবি করেন।
এব্যাপারে উল্লাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ন কবির জানান, তিনি পুলিশ কনস্টেবল মাজেদুলকে থানায় আটক করে বিষয়টি তদন্ত করে দেখছেন। ঘটনার সত্যতা প্রমান হলে তিনি উর্ধতন পুলিশ কর্তৃপক্ষের কাছে মাজেদুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য লিখিতভাবে প্রতিবেদন দেবেন।
এ বিষয়ে খালেদা পারভীনের তালাকপ্রাপ্ত স্বামী আমিনুল ইসলাম জানান, তাদের ১২ বছরের সংসার। তিনি বিদেশে চাকরি করতেন। এই সময়ে তার অনেক অর্থ ও স্বর্ন খালেদা হাতিয়ে নিয়ে তাকে তালাক দিয়ে চলে গেছে। তিনি খালেদার বিরুদ্ধে এ ব্যাপারে আদালতে মামলা করবেন।