সারোয়ার হোসেন,তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরের ৭টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামি ১১ নভেম্বর। এদিকে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিভিন্ন কৌশলে প্রার্থীরা শুরু করেছে জম্পেশ প্রচারণা। এসব প্রচারণায় আওয়ামীলীগ ৩টি ও স্বতন্ত্র ৪টিতে এগিয়ে রয়েছেন।
জানা যায় তানোরের কলমা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান মাইনুল ইসলাম স্বপন। তবে এখানে প্রচার প্রচারণায় ব্যাপক সাড়া ফেলে সাধারণ ভোটারদের কাছে পছন্দের শীর্ষে রয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি প্রবীণ নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী খাদেমুন নবী বাবু চৌধুরী। কিন্তু আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী মাইনুল ইসলাম স্বপন দলীয় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করতে ও সাধারণ ভোটারদের মাঝে তেমন কোনো সাড়া ফেলতে প্রায় ব্যর্থ হয়েছে। এছাড়াও তাকে নিয়ে ইউপি আওয়ামী লীগে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। ফলে এখানে বিজয়ী হবার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থী বাবু চৌধুরী।
কাঁমারগা ইউনিয়নে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলে রাব্বী ফরহাদ।এখানে তার বিপক্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন চেয়ারম্যান মসলেম উদ্দিন প্রামানিক। এখানে ফরহাদকে নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে, তিনি এখানো আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ করে মাঠে নামাতে পারেননি। আবার বিএনপির তেমন কোনো শক্ত প্রার্থী না থাকায় বিজয়ী হবার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন মসলেম।
বাঁধাইড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন ইউপি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চেয়ারম্যান আতাউর রহমান।এখানে তার বিরুদ্ধে তেমন কোনো শক্তিশালী প্রার্থী নাই। এছাড়াও আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের আকুন্ঠ সমর্থনে প্রচার-প্রচারণায় তিনি অন্যদের থেকে অনেকটা এগিয়ে রয়েছেন।
নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর থেকে তিনি নিয়মিত নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিরবিচ্ছিন্নভাবে যোগাযোগ রক্ষা করে নির্বাচনী মাঠ নিজের নিয়ন্ত্রণে রেখে প্রচারণা করে চলেছেন।এখানে বিজয়ী হবার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন আতাউর রহমান।সরনজাই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক।
তবে দলীয়কোন্দল ও মতবিরোধের কারণে তিনি খুব একটা সুবিধাজনক অবস্থানে নাই। তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করতেও ব্যর্থ হয়েছেন। রয়েছে দলের শক্তিশালী বিদ্রোহী প্রার্থী। ফলে এখানে ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মোজাম্মেল হক খাঁন প্রচার-প্রচারণায় এগিয়ে থেকে অনেকটা সুবিধাজনক অবস্থানে বিজয়ী হবার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন।
তালন্দ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক ও চেয়ারম্যান আবুল কাশেম। এখানে তার শক্ত প্রতিপক্ষ হিসেবে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন তার ডান হাত হিসেবে পরিচিত ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি রইস উদ্দিন বাচ্চু। তবে বিএনপির প্রার্থী না থাকায় জামায়াত নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী আক্কাশ আলী বিজয়ী হবার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন।
পাঁচন্দর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন। এখানে তার বিপক্ষে তেমন কোনো শক্ত বিদ্রোহী প্রার্থী নাই।এছাড়াও ইউপি আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধভাবে তাকে সমর্থন করায় প্রচার-প্রচারণা ও বিজয়ী হবার দৌড়ে তিনি অন্যদের থেকে এগিয়ে রয়েছেন।
চাঁন্দুড়িয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান। এখানে তার বিরুদ্ধে তেমন কোনো শক্ত প্রার্থী না থাকায় এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তার পক্ষে মাঠে নামায় তিনিও প্রচার-প্রচারণা ও বিজয়ী হবার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন।