বাঘা(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ যথাযথ ধমীয় ভাব-গাম্ভীর্যের মাধ্যমে হিন্দু ধর্মাবল্বীদের সর্ব বৃহৎ উৎসব দুর্গাপূজা। প্রতি বছরের ন্যায় এবারো বাঘা উপজেলার দিঘা ঠাকুর পাড়া সার্বজনীন দূর্গা মন্দিরে মঙ্গলবার (১২অক্টোবর) দুপুর ১ টায় দূর্গাপুজা উপলক্ষে সকল ধর্মের দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে শাড়ী কাপর বিতরণ করা হয়েছে। উপজেলার দিঘা ঠাকুর পাড়া দুর্গা মন্দির চত্বরে এ আয়োজন করা হয়। এ সময় পুজা মন্ডব প্রদশন করেন মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রনালয় উপসচিব বাবু রথীন্দ্রনাথ দত্ত।
এবারের উপজেলায় বিভিন্ন শারদীয় দূর্গাপূজার মন্দির এলাকায় পূজাউৎসবে সাড়ে ১৮০০থশাড়ি, ৫০০শথ লুঙ্গি, ৫০০শথ থ্রিপিচ ও ৫০০শথ প্যান্ট পিচ বিতরণ করবেন। তাঁর অংশ হিসাবে দিঘা ঠাকুরপাড়া দুর্গামন্দির চত্বরে ১“শত দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে বস্ত্র বিতরণ করা হয়।
সভায় প্রভাষক শীতল কুমার কর্মকারের সঞ্চালনায় গোপাল চন্দ্র মজুমদার বিপ্লবের সভাপতিত্বে বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের উপ-সচিব রথীন্দ্র নাথ দত্ত। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, টাঙ্গাইল কোর্টের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুমন কর্মকার, দিঘা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ জহুরুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল আলম,উপজেলা পূজা উদ্যাপন কমিটির সভাপতি সুজিত কুমার পান্ডে বাকু , সাধারণ সম্পাদক অপূর্ব সাহা। উপস্থিত ছিলেন,দিঘা হিন্দুপাড়া পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রেমানন্দ কর্মকার, শিক্ষক ভথবন মোহনসহ বিভিন্ন পূজা কমিটির সভাপতি ও সম্পাদক গণ।
বস্ত্র বিতরণ ও পুজা প্রর্দশনকালে প্রধান অতিথি মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রনালয় উপসচিব বাবু রথীন্দ্রনাথ বলেন, অসাম্পদায়িক ও ধর্মীয় নানা সপ্রদায়ের দেশ বাংলাদেশ। আমরা হিন্দু মুসলিম নিবিশেষে আবহমান কাল থেকে এই উৎসবের আনন্দ ভাগাভাগি করে আসচ্ছি। এবং ভবিষ্যৎতে আমাদের সৌর্হাদ্য ও সপ্রীতি অবাহত থাকবে বলে বিশ্বাস করি। তিনি, প্রতিটি পূজামন্ডপ কমিটিকে সকল ধর্মের সমন্বয়ে সাপ্রদায়িক সপ্রীতির বন্ধনে একীভথত করে কমিটি গঠনের আহবান জানিয়েছেন । যাতে করে দর্শনার্থীরা নির্ভিগ্নে পূজামন্ডপ দর্শণ করতে পারেন।