সোহেল হোসেন,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ভাটিয়ালপুর গ্রামে বিধবা পরিবার ১৭দিন যাবত গৃহবন্ধি হয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছে। বিধবার দেবর অবসর পুলিশ কনস্টেবল নজরুল ইসলাম প্রতিকার চেয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন আইন শৃংখলা বাহিনীর ধারস্থ হয়ে ব্যর্থ হচ্ছে।
সুত্রে জানায়,উপজেলার ভাটিয়ালপুর গ্রামের বড় জমদার বাড়ির নুরুল আমিন অদৃশ্য ক্ষমতার দাপট দেখি বাড়ির বিধবা জাহানারা বেগমের পরিবারকে গৃহবন্ধি করে। নুরুল আমিন সম্পত্তি বিরোধকে কেন্দ্র করে বিধবার বসতঘরে সামনে গর্ত করে মাটি সরিয়ে নেয় এবং বসতঘরের সামনে পিছনে দুইটি গোয়াল ঘর নির্মান করে।
চলাচলের রাস্তাতে টিন দিয়ে ব্যারিকেট নির্মান করে। বিধবারপুত্র বধু ফাহিমা বেগম বলেন, চলাচলের রাস্তা টিন দিয়ে ব্যারিকেট দেওয়ায় আমার মেয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে পাচ্ছে না।
বিধবা জাহানারা বলেন,ব্যারিকেট দেওয়ায় আমরা ঘর থেকে বাহির হতে পারছি না। ফলে নিত্য দিনের বাজার করা কঠিন হয়ে পড়ছে। ব্যারিকেট দেওয়ার পুর্বে বসতঘরের সামনে পিছনে দুইটি গোয়ালঘর ও গর্ত করায় মেয়ের জামাতাসহ নিকটাত্মীরা আসতে পারে না। অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কনস্টেবল নজরুল ইসলাম বলেন,বিধাব পরিবারকে গৃহবন্ধি থেকে রক্ষা করতে গ্রামের লোকজন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন আইন শৃংখলা বাহিনীর ধারস্থ হই। কিন্তু কোন প্রতিকার পাচ্ছি না।
এব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত নুরুল আমিন বলেন,আমার বাবার দেওয়ায় সম্পত্তিতে ব্যারিকেট দিয়েছি,বিধবা আমার সম্পত্তিতে বসতবাস করছে। গ্রাম্য শালিসদাররা ন্যায় বিচার না করায় শালিস মানছি না।
স্থানীয় ইউপি মেম্বার রুহুল আমিন কালু ও করপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুল হক মজিব বলেন,বিধবা পরিবারকে দীর্ঘদিন যাবত নুরুল আমিন ও তার পরিবার নানা অত্যাচার-নির্যাতন চালাচ্ছে। এনিয়ে কয়েকবার গ্রাম্য বৈঠক বসা হলেও অদৃশ্য কারনে বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না।