শিরোনাম
실시간 메이저사이트, 풋볼스피크 추천 플랫폼 How To Handle Every MEGA Challenge With Ease Using These Tips দুর্গাপুরে জামায়াতে ইসলামীর আয়োজনে জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে কেন্দ্র পরিচালক ও পোলিং এজেন্ট প্রশিক্ষণ। ডিমলায় বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা। গাঁজায় চলম ধ্বংসষজ্ঞ ও প্রানহানীর প্রতিবাদে ডিমলায় বিক্ষোভ। গাঁজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে মাধবপুরে বিক্ষোভ মিছিল। ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলার প্রতিবাদে কালিয়াকৈরে বিক্ষোভ মিছিল। ইহুদীদের সাথে হযরত মুহাম্মদ (স.) জামাকে তুলনা করায় মৌলভীবাজারে প্রতিবাদ। কালিয়াকৈর চাপাইর তুরাগ নদীতে বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার। উল্লাপাড়ায় শ্রমিক লীগ নেতার বিরুদ্ধে গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা অভিযোগ।
সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:০০ অপরাহ্ন

লক্ষ্মীপুরের চররুহিতে শিকলবন্দি মোরশেদের অস্বাভাবিক আচারণ।

রিপোটারের / ২০৯ বার পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : সোমবার, ১১ অক্টোবর, ২০২১

সোহেল হোসেন লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুরের রিকশাচালক আজাদ হোসেনের দুই ছেলে খোরশেদ আলম (৩৪) ও মোরশেদ আলম (২৪)। মাত্র ৭ বছর বয়সেই পাল্টে যায় মোরশেদের জীবনের হিসাবনিকাশ। অস্বাভাবিক আচরণ শুরু হয় তার।

এরপর তাকে কবিরাজি চিকিৎসা দেওয়া হলেও কোনো লাভ হয় না। বরং তার পাগলামি বাড়তে থাকে। এমন পরিস্থিতিতে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে তাকে ৮ বছর ধরে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে।

অপরদিকে মোরশেদের বড়ভাই খোরশেদ আলম জন্ম থেকেই শারীরিক প্রতিবন্ধী। গত ৩৪ বছর ধরে এক বিছানায় দিন কাটছে তার। এ দুই প্রতিবন্ধী সন্তানকে নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে পরিবারটি।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, অর্থের অভাবে তাদের চিকিৎসা হচ্ছে না। সমাজের বিত্তবান বা সরকারি সহায়তা পেলে দুই ভাইকে চিকিৎসা করিয়ে ভালো করা সম্ভব বলে মনে করছেন তারা।

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চররুহিতা ইউনিয়নের চর লামচী গ্রামে শিকলবন্দি জীবন কাটানো মোরশেদ আলমের বয়স এখন ২৪ বছর। তার বড়ভাই খোরশেদ আলমের বয়স ৩৪ বছর।
পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, জন্মের পর ৭ বছর পর্যন্ত ভালো ছিল মোরশেদ। হঠাৎ করে খিঁচুনি উঠে মানসিক প্রতিবন্ধী হয়ে যায়। মানসিক সমস্যা বেড়ে যাওয়ায় গত ৮ বছর থেকে শিকলবন্দি করে রাখা হয়েছে। এখন ফ্যাল ফ্যাল চোখে তাকিয়ে থাকে। অর্থাভাবে চিকিৎসা করাতে পারছে না বলে জানান তার বাবা আমজাদ হোসেন। জন্ম থেকেই শারীরিক প্রতিবন্ধী খোরশেদ আলম এখনো হাঁটার স্বপ্ন দেখেন।

দিনমজুর আজাদ হোসেন জানান, আগে রিকশা চালিয়ে কোনোভাবে তাদের ওষুধপত্রসহ যাবতীয় খরচ চালাতাম। কিন্তু পা ভেঙে যাওয়ায় এখন আর রিকশা চালাতে পারি না। বর্তমানে বাড়ির পাশে পান দোকান দিয়ে সংসার চালাতে হয়। কিন্তু এতে হয় না। কোনোদিন খেয়ে আবার কোনোদিন না খেয়ে থাকতে হয়। সরকারিভাবে যদি দুই সন্তানের চিকিৎসা ব্যয় বহন করা হয় তাহলে ছোট ছেলেটা সুস্থ হতে পারে আর বড় ছেলেটা অন্তত হুইলচেয়ারে বসতে পারলেই কিছুটা দুঃখ লাঘব হবে।

মা খুরশিদা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, দুই প্রতিবন্ধী সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি। ছয় মাস অন্তর ৪ হাজার ৫’শ টাকা করে প্রতিবন্ধী ভাতা পেলেও তা দিয়ে কিছুই হচ্ছে না। আরও সরকারি সহযোগিতার দাবি করেন তিনি।

চররুহিতা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হুমায়ূন কবির পাটোয়ারী জানান, তারা প্রতিবন্ধী ভাতা পাচ্ছেন। তবে হুইল চেয়ারসহ চিকিৎসার জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হবে।

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. মামুনুর রশিদ বলেন,বিষয়টি জানা ছিল না। স্থানীয় চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে তাদের সংকট সমাধানে উদ্যোগ নেওয়া হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর