ফজলে রাব্বীঃ পঙ্গুত্ব হওয়ায় তিন বছর পর স্ত্রী ডিভোর্স দিয়ে চলে গেছে। তবুও থেমে নেই জীবন। নয় বছরের ছেলে ও বৃদ্ধ বাবা-মাকে নিয়ে অসহায় ভাবে চলছে জীবন। ছয় বছর আগে রড মিস্ত্রীর কাজ করতে গিয়ে বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনায় তার দুটি হাত কাটা পরে রড মিস্ত্রী জাকিরের। শত চেষ্টায়ও পঙ্গুত্ব থেকে রক্ষা পাননি তিনি। তবুও থেমে নেই জীবন।
নাটোর জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার চাঁচকৈড় খলিফাপাড়ার খবির মন্ডলের ছেলে জাকির। নাটোর জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার চাঁচকৈড় খলিফাপাড়ার খবির মন্ডলের ছেলে জাকির। জাকির হোসের অবস্থা দেখে সহায়তার জন্য ফেসবুকে পোষ্ট দেন,বিবিসিএফ এর প্রচার সম্পাদক,সমাজকর্মী মামুন বিশ্বাস।
জাকির প্রতি সপ্তাহে ৩ দিন বিভিন্ন হাটে ২/৩ বস্তা রসুন কিনে পাইকারি বিক্রি করে যা আয় তা দিয়ে ছেলে ও বাবা-মাকে নিয়ে চলছে কোন রকম ভাবে।
জাকির জানান,৬ বছর আগে বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনায় তার দুটি হাত কাটা পরে। তখন থেকে খুব কষ্ট করে চলছে। ৩ বছর আগে আমার স্ত্রী আমাকে ডিভোর্স দিয়ে চলে যায়৷ আমার দুটি হাত না থাকায় নিজের অনেক কাজ করতে পারি না। আমার মা আমার কাজে সহযোগিতা করেন। ৯ বছরের ছেলে সিয়াম ও বাবা-মাকে নিয়ে আমি থাকি।
সমাজকর্মী মামুন বিশ্বাস,ফেসবুক বন্ধুদের
ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন,ফেসবুক বন্ধুদের পাঠানো টাকা দিয়েই পঙ্গু জাকির হোসেন ভাইকে স্বাবলম্বী করা সম্ভব হয়েছে। আমি মাত্র চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আশা করছি জাকির হোসেন,একটু হলেও শান্তিতে থাকতে পারবে।
শনিবার(০৯ অক্টোবর) সকালে পঙ্গু হওয়া জাকিরকে স্বাবলম্বী করতে নাটোর জেলা প্রশাসক মানবিক মানুষ শামিম আহম্মেদ মাধ্যমে দিয়ে ৭০ হাজার টাকা মূল্যের গরু ও নগদ ৩০ হাজার টাকা জাকির হোসের নিকট প্রদান করা হয়।