শিরোনাম
উল্লাপাড়ায় ইয়াবাসহ শীর্ষ দুই মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার। দুর্গাপুরে জামায়াতে ইসলামীর আয়োজনে জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে কেন্দ্র পরিচালক ও পোলিং এজেন্ট প্রশিক্ষণ। ডিমলায় বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা। গাঁজায় চলম ধ্বংসষজ্ঞ ও প্রানহানীর প্রতিবাদে ডিমলায় বিক্ষোভ। গাঁজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে মাধবপুরে বিক্ষোভ মিছিল। ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলার প্রতিবাদে কালিয়াকৈরে বিক্ষোভ মিছিল। ইহুদীদের সাথে হযরত মুহাম্মদ (স.) জামাকে তুলনা করায় মৌলভীবাজারে প্রতিবাদ। কালিয়াকৈর চাপাইর তুরাগ নদীতে বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার। উল্লাপাড়ায় শ্রমিক লীগ নেতার বিরুদ্ধে গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা অভিযোগ। উল্লাপাড়ায় গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ।
মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৩২ অপরাহ্ন

লক্ষ্মীপুরে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর চুল কেটে দিলেন জামায়াত নেতা।

রিপোটারের / ১৬৫ বার পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ৮ অক্টোবর, ২০২১

সোহেল হোসেন লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ জন ছাত্রের চুল কাঁচি দিয়ে কেটে লাঞ্ছিত করার ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলা ছয়জন ছাত্রের চুল কেটে দিয়েছেন মঞ্জুরুল কবির নামে এক মাদরাসা শিক্ষক।

বুধবার ঐ উপজেলার বামনী ইউনিয়নের হামছাদী কাজির দিঘীরপাড় আলিম মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত মঞ্জুরুল কবির ঐ মাদরাসার সিনিয়র শিক্ষক ও ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামের আমির। ভুক্তভোগীরা একই মাদরাসার দশম শ্রেণীর ছাত্র।

এদিকে ঐ ঘটনার একটি ভিডিও শুক্রবার ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এতে ছাত্র ও অভিভাবকদের মাঝে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। এরপরই সমালোচনার মুখে পড়েছেন ঐ জামায়াত নেতা।

ঐ মাদরাসার দাখিল শ্রেণির শিক্ষার্থী নাজমুল আলম ও ফজলে রাব্বী জানান,বুধবার তাদের ইংরেজি ক্লাস চলছিল। ঐ সময় হঠাৎ সিনিয়র শিক্ষক মঞ্জুরুল কবির ক্লাসে ঢুকে কাঁচি দিয়ে ছয়জন ছাত্রের মাথার চুল কেটে দেন। ঐ ঘটনার পর ছাত্ররা ক্লাস না করে বেরিয়ে যায়। পরবর্তীতে অন্য শিক্ষকদের মধ্যস্থতায় ছাত্ররা তাদের ক্লাসে ফেরে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ছাত্র বলেন, মঞ্জুরুল স্যার আমাদের ক শাখার ছয়জনের চুল কেটে দিয়েছেন। কিন্তু খ শাখার কারো চুল কাটেননি। আমি মাথা ন্যাড়া করার কারণে চারদিন মাদরাসায় যাইনি। পরে স্যার দাখিল পরীক্ষার ফরম পূরণ করতে দেওয়া হবে না বলে হুমকি দিয়েছেন।

অভিযুক্ত মঞ্জুরুল কবির ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি দাখিল শ্রেণির সব ছাত্রকে পরীক্ষার আগের দিন চুল কেটে মাদরাসায় আসতে বলেছি। তারা আমার কথা না শোনায় কয়েকজনের চুল কেটে দিয়েছি। তবে কাউকে হুমকি দেইনি।

রায়পুর ৭নং বামনী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তাফাজ্জল হোসেন মুন্সি বলেন, মাদরাসার শিক্ষক মঞ্জুরুল কবির ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামের আমির। তিনি প্রায়ই ছাত্রদের ওপর প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেন। তার ভয়ে ছাত্র তো দূরের কথা অন্য শিক্ষকরাও নিরুপায়।

রায়পুরের ইউএনও সাবরীন চৌধুরী বলেন,বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। সত্যতা পাওয়া গেলে বিধি মোতাবেক ঐ শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর