আজিজুর রহমান মুন্না,সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ “সবার জন্য প্রয়োজন ও মৃত্যুর পরপরই নিবন্ধন “এই স্লোগানকে সামনে রেখে এই দিনটিকে জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস পালন করা হয়েছে।
বুধবার (৬ অক্টোবর) সকাল ১১টায় শহীদ এ.কে শামসুদ্দিন সম্মেলন কক্ষে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসনের আয়োজনে- জাতীয় জন্ম ও নিবন্ধন দিবসে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্যে জন্ম নিবন্ধন হলো একটি শিশুর প্রথম রাষ্ট্রিয় স্বীকৃতি। সাক্ষ্য আইন ১৮৭২ অনুযায়ী জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সাক্ষ্য হিসাবে বিবেচিত হবে। বাল্যবিবাহ, শিশুশ্রম রোধে সকল শিশুর জন্ম নিবন্ধন প্রয়োজন। জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন এর ফলে মৌলিক জনসংখ্যা তথ্য জানা যায়।এতে জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন ও মনিটরিং সহজ হয়।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহাম্মদ।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ মনির হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (আইসিটি ও শিক্ষা ) শারমিন সুলতানা, সিরাজগঞ্জ পৌরসভার মেয়র সৈয়দ আব্দুর রউফ মুক্তা, সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি হেলাল আহমেদ, ইসলামী ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক ফারুক আহমেদ, জেলা তথ্য অফিসার আবুল খায়ের, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা জেনারেল হাসপাতালে তত্ত্বাবধায়ক ডা: সাইফুল ইসলাম, জেলা মহিলা ও শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা, সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার ভূমি কর্মকর্তা রবিন শীর্ষ, সরকার, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আমিনুল ইসলাম মন্ডল, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আপেল মাহমুদ বিভিন্ন দপ্তরে কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ইমাম, পুরোহিত সহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহাম্মদ বলেন, জন্ম নিবন্ধন পিতা বা মাতা বা অভিভাবক শিশু জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম সংক্রান্ত তথ্য নিবন্ধনকের নিকট প্রদান করবে। মৃত্যুর নিবন্ধন ক্ষেত্রে মৃত ব্যক্তির পুত্র বা কন্যা বা অভিভাবক মৃত্যুর ৪৫ দিনের মধ্যে মৃত্যু সংক্রান্ত তথ্য নিবন্ধকের নিকট প্রেরণ করবেন।টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য মাত্রা এসডিজি অর্জনে আমাদের টার্গেট রয়েছে ২০৩০ সালের মধ্যে ৮০ ‘/.জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সম্পন্ন করা জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রম আরও ত্বরান্বিত করণ জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ২০১৮ সাল থেকে ৬ অক্টোবর কে জাতীয় জন্ম নিবন্ধন দিবস হিসেবে পালন করা হয়।