নাহিদ মিয়া,মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জে মাধবপুর উপজেলার কমলা নগর গ্রামের কৃষক হান্নান অভিযোগ করে বলেব শনিবারে তিনি ইউনিয়ন ডিলার লালা ট্রেডার্স থেকে ইউরিয়া সার প্রতি কেজি ৪ টাকা টিএসপি ৬ টাকা বেশি দিয়ে কিনতে হয়েছে।
উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের চাষি কদর আলী,শফিক মিয়া,ইমান আলী,করিম হোসেন,আব্দুল মজিদ সহ বেশ কয়েকজন স্থানীয় চাষিরা জানান,চৌমুহনী ইউনিয়ন সারের ডিলার ও অন্যান্য সারের দোকান গুলোতে সরকারি নির্ধারিত দামের বাইরে টিএসপি,ইউরিয়া,এমওপি,ডিএপি র প্রতি কেজি সারে ৩ থেকে ৮ টাকা হারে বেশি দাম নিচ্ছেন। চাষিদের অভিযোগ,ডিলার সহ সারের দোকানগুলোতে সার পর্যাপ্ত থাকলেও বিক্রেতারা সারের সংকট দেখিয়ে দাম বেশি রাখছেন। এতে তাদের উৎপাদন খরচ বহুগুন বেড়ে যাচ্ছে। দাম বেশি হওয়ায় চাহিদা মতো সার ক্রয় করতে পারছেন না তারা।
ফলে জমিতে সারের ঘাটতির কারণে উৎপাদন ব্যাহত হবার আশংকা রয়েছে। সরজমিনে গত রবিবার উপজেলার চৌমুহনী,ধর্মঘর,বহরা, শাহজাহানপুর সহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে ঘুরে কৃষক ও সার বিক্রেতার সাথে আলাপ করে বেশি দামে সার বিক্রির তথ্য পাওয়া গেছে।
চৌমুহনী ইউনিয়ন সারের ডিলার এর সত্বাধিকারী সারের দাম বেশি নেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,খুচরা পর্যায়ে সার দোকানিরা বেশি দামে সার বিক্রি করার কথা শুনেছি তবে আমার এখানে সরকারি রেটেই সার বিক্রি হচ্ছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,সাব ডিলারদের কাছে দোকানের মেম্যুর মাধ্যমে সার দেওয়া হলেও খুচরা পর্যায়ে সারের ক্রেতাদের কোনো মেম্যু দেওয়া হয় না।
চৌমুহনী ইউনিয়নের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দ জাহিদুল হোসাইন বেশি দামে সার বিক্রির কথা স্বীকার করে বলেন,আসন্ন রবি মৌসুমে এ অঞ্চলে সারের চাহিদা বেশি থাকে সে তুলনায় সারের কিছুটা সংকট রয়েছে। সে সুযোগে খুচরা সার বিক্রেতারা দাম কিছু বেশি রাখছেন বলে শুনেছি। তবে ডিলার সহ সার বিক্রেতাদের সরকারি মূল্যে সার বিক্রি সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছি।
মাধবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মামুন হাসান জানান সারের সংকট থাকার কথা নয়, মাঠপর্যায়ে আমাদের উপ-সহকারি কৃষিকর্মকর্তারা বিষয়টি মনিটরিং করছে। কারো বিরুদ্ধে যদি বেশি দামে সার বিক্রির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ প্রমাণ পাওয়া যায় তার বিরুদ্ধে বিধি অনুযাযী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।