তাড়াশ(সিরাজগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে মাদ্রাসায় পড়া না পারায় এক শিক্ষক আসলাম হোসেন (৮) নামের শিশু ছাত্রকে বাঁশের টুকরো দিয়ে পিটিয়ে জখম করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত শিক্ষক জহুরুল ইসলাম উপজেলার তালম ইউনিয়নের চৌড়া গ্রামের বাসিন্দা ও কুসুম্বি হাফেজিয়া কওমী মাদ্রাসায় কর্মরত শিক্ষক। উপজেলার বারুহাস ইউনিয়নের কুসুম্বি হাফেজিয়া কওমী মাদ্রাসায় এ ঘটনাটি ঘটেছে। শিক্ষক জহুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে শিশু ছাত্রকে পিটিয়ে জখম করায় ফুসেঁ উঠেছে এলাকাবাসী। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতিসহ অন্যান্য শিক্ষক দৌড়ঝাপ শুরু করেছেন। এর আগে শনিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।
পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কুসুম্বি হাফিজিয়া কওমী মাদ্রাসার শিশু ছাত্র পড়া না পারায় বাশের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুত্বও আহত করে মাদ্রাসার একটি কক্ষে আটকে রাখেন শিক্ষক জহুরুল ইসলাম । পরে মাদ্রাসা ছাত্র আসলাম পালিয়ে তালম ইউনিয়নের চৌড়া গ্রামে নিজ বাড়িতে গিয়ে বাড়ির সকলকে ঘটনাটি বলে। পরে রাতেই মাদ্রাসার মুহতাতিম আব্দুস সামাদ, সভাপতি রফিকুল ইসলাম, শিক্ষক জহুরুল ইসলাম গিয়ে ছাত্রর অভিভাবকদের কাউকে না জানানোর নানান হুমকি দিয়ে আসেন।
শিশুটির বৃদ্ধ দাদি অভিযোগ করে বলেন , শিক্ষক জহুরুল ইসলাম এর আগেও পিটিয়ে তাঁর নাতির হাতের কবজি জখম ও রক্তাক্ত করেছেন। এ ছাড়া তাঁর শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম রয়েছে। ওই শিক্ষকের বিচার দাবি করেন তিনি। এখন ওই মাদ্রাসায় আর নাতি আসলামকে পড়াবেনা বলেও জানান তিনি।
কুসুম্বি গ্রামের ছাত্রের জায়গীদার শিহাব উদ্দিন বলেন, দুপুরে বাড়িতে খাওয়া-দাওয়া করতে আসে নাই শিশু আসলাম হোসেন। তখন মাদ্রাসায় খবর নিতে গেলে মাদ্রাসার শিক্ষকেরা কোন খবর দিতে পারিনি। পরে লোকজন নিয়ে আসলামকে খুজতে যাই তার গ্রামের বাড়িতে। এ সময় গিয়ে দেখি মাদ্রাসার শিক্ষকেরা ছাত্রের অভিভাবকদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। এ নিয়ে একটা বাগবিতণ্ডার ঘটনাও ঘটেছে।
অভিযুক্ত শিক্ষক জহুরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করা হয়েছে।
কুসুম্বি হাফিজিয়া কওমী মাদ্রাসার পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি রফিকুল ইসলাম জানান, ছাত্রের অভিভাবকদের সাথে কথা বলেছি। তেমন কোন সমস্যা নাই।