সোহেল হোসেন লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার কোর্সের মেয়াদ ৪ বছর মেয়াদের পরিবর্তে ৩ বছরে করার উদ্যোগ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার বাংলাদেশ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র-শিক্ষক পেশাজীবী সংগ্রাম পরিষদ।
বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর ) সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুর শহরের একটি চাইনিজ রেষ্টুরেন্টে বাংলাদেশ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র-শিক্ষক পেশাজীবী সংগ্রাম পরিষদ লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভা থেকে এ আহ্বান জানানো হয়।
সংগ্রাম পরিষদ লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার আহ্বায়ক প্রকৌশলী মোজাম্মেল হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন আইডিইবি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি (কেনিক), জেলা নির্বাহী কমিটির (জেনিক) ও বাংলাদেশ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র-শিক্ষক পেশাজীবী সংগ্রাম পরিষদের নেতৃবৃন্দ।
বক্তব্যে নেতৃবৃন্দ বলেন, আগামীর কর্মচ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাকোর্সের মেয়াদ হ্রাসের আত্মঘাতী উদ্যোগ বন্ধ করে এ শিক্ষা ব্যবস্থায় বিরাজমান শিক্ষক স্বল্পতা,শ্রেণীকক্ষ, ল্যাব,ওয়ার্কসপ সংকটসহ শিক্ষকদের পদোন্নতি, দ্বিতীয় শিফটে কর্মরত শিক্ষকদের সম্মানি, প্রকল্পের শিক্ষকদের নিয়মিত করনসহ বেতন ভাতা প্রদান এবং ছাত্র ছাত্রীদের বৃত্তি ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং ভাতা বৃদ্ধিসহ বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষা আধুনিকায়নে মনোযোগী হওয়ার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় মনোযোগ দিতে হবে।
ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার নেতৃবৃন্দ সভায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা থাকলেও বিগত ৮/৯ বছরেও ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের প্রাথমিক নিযুক্তিতে বর্ধিত ইনক্রিমেন্ট,৫০% পদোন্নতি, জনকল্যাণকর অর্গানোগ্রাম প্রণয়ন করা হয়নি।
বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড ২০২০ইং ও ঢাকা ইমারত নির্মাণ বিধিমালার বিতর্কিত সংজ্ঞা ও বিভিন্ন ধারা/উপধারা সংশোধনপূর্বক গেজেট প্রকাশ করা হয়নি। এছাড়া সকল বিদ্যুৎ কোম্পানিতে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে পদোন্নতি প্রদান, পলিটেকনিক, টিএসসি,টিটিসি ও এসএসসি ভোকেশনাল শিক্ষকদের পদোন্নতিসহ বেকার ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের কর্মসংস্থান ও প্রাইভেট সেক্টরের ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের সম্মানজনক বেতন ও পদবী নির্ধারণের কার্যকর উদ্যোগ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে নেয়া হয়নি। যা ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ও ছাত্র শিক্ষকদের বিক্ষুব্ধ করে তুলছে। এটি প্রকৌশল কর্মক্ষেত্রকে উত্তপ্ত করে তুলবে বলে নেতৃবৃন্দ সরকারকে সতর্ক করেন।
এসময় বক্তারা আরও বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এ সিদ্ধান্তকে হটকারী ও ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংসের গভীর ষড়যন্ত্র হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।
এ ধরনের অদূরদর্শী ও আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সরে না এলে কোভিডের চলমান সংকট উপেক্ষা করে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সের ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকেরা সমন্বিতভাবে দেশব্যাপী দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে বাধ্য হবেন, যা দেশের সার্বিক শিক্ষার পরিবেশকে অস্থিতিশীল করে তুলবে এবং উন্নয়ন–উৎপাদন ব্যাহত হবে। এর দায় কোনোভাবেই ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া যাবে না।