রবিউল ইসলাম,গোদাগাড়ী (রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ
রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী থানার চাঞ্চল্যকর খুন ও ডাকাতি মামলার রহস্য উদঘাটন করে আসামি গ্রেফতার করেছে গোদাগাড়ী থানা রাজশাহী গোয়েন্দা শাখার চৌকস টিম। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে।
গত ৩০ আগস্ট গোদাগাড়ী থানার রাজশাহী চাঁপাই মহাসড়ক সংলগ্ন গোগ্রাম ইউনিয়নের লালাদিঘি গ্রামের একটা পুকুরে মাসুদ রানা নামের এক ব্যক্তিকে খুন করে মাছ চুরি করে নেয়ার জন্য। এর প্রেক্ষিতে গোদাগাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়। দীর্ঘ ২৪ দিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে রাজশাহীর পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন বিপিএম( বার)দিকনির্দেশনায় জেলার বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তীর নেতৃত্বে নওগাঁ জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ঘটনার সাথে জড়িত চারজনকে আটক করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করলে তাদের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়।
বৃহস্পতিবার ২৩ সেপ্টেম্বর গ্রেফতারকৃত তিন আসামি তারা নিজেদের দোষ স্বীকার করে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় বিজ্ঞ আদালতে জবানবন্দি প্রদান করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন নওগাঁর বদলগাছী থানার ভোলার পালশা গ্রামের আব্দুল মতিনের ছেলে আব্দুল লতিব(৪০),একই এলাকার ফারাদপুর গ্রামের মৃত মন্টুর ছেলে রেজাউল করিম(৫০),নওগাঁ সদর থানার চকদেব গ্রামের ফসির উদ্দিনের ছেলে আব্দুল করিম(জনি)(২৫) ও একই থানার আরজি নওগাঁ নাপিত পাড়া গ্রামের মৃত দুলাল হোসেনের ছেলে শাহীন রেজা(৩৪)।
উল্লেখ্য নামিক আসামি রেজাউল ইসলাম, আব্দুল করিম(জনি) ও শাহীন রেজা আজ বৃহস্পতিবার বিজ্ঞ আদালতে জবানবন্দী প্রদান করেছেন।
তাদের ভাষ্য, তারা পেশাদার মাছ চোর। রাজশাহী, নওগাঁ, বগুড়া ও জয়পুরহাটের বিভিন্ন পুকুরে মাছ চুরি করাই তাদের পেশা। ছোট ট্রাক নিয়ে তারা ঘুরে বেড়ায় এবং সুবিধামতো স্থানে মাছ চুরি করে থাকে । ঘটনার রাতে তারা নয়জন একটা মিনি ট্রাকে করে নওগাঁর ফারাদপুর থেকে প্রায় আশি কিলোমিটার দূরে আসে মাছ চুরি করতে। অপ্রত্যাশিতভাবে মো: মাসুদ রানা ও লিটন নামের দুইজন পাহারাদারকে পেয়ে তাদের বেধে ফেলে। মাসুদ রানা মারা যায়। আটজনই ধরা বাধার কাজে অংশ নেয়। মাছ ধরা শেষ হবার আগেই লোকজন চলে এলে তারা পালিয়ে যায়।বাকি আসামিদের ধরার জন্য অভিযান চলমান রয়েছে।