রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৩৬ অপরাহ্ন

লক্ষ্মীপুর জেলেদের অধিকার আদায়ে কোডেক’র মতবিনিময় সভা।

রিপোটারের / ৩৯০ বার পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : সোমবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২১

সোহেল হোসেন,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুরে রামগতি-কমলনগরের মেঘনা উপকূলীয় অঞ্চলে নানা বিড়ম্বনার জালে বন্দি জেলেদের জীবন শীর্ষক এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার সকালে কমলনগর প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় মেঘনা উপকূলীয় এলাকায় মাছ ধরতে গিয়ে জেলেরা উপজেলা মৎস্য অফিস,জলদস্যু, নৌ-পুলিশ ও কোস্টগার্ডের হাতে নানা বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন বলে জানান।

মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন নামের একটি সামাজিক সংগঠনের সহযোগীতায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (কোডেক) জেলেদের অধিকার আদায়ে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন।

কমলনগর প্রেসক্লাব সভাপতি এম এ মজিদের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন কোডেকের প্রকল্প সমন্বয়কারী মোর্শেদা বেগম,মনিটরিং অফিসার দেব দুলাল হাওলাদার, ফিল্ড অফিসার মোকাম্মেল হোসেন, জেলে প্রতিনিধি, আব্দুল মতলব মাঝি, আবুল কালামসহ কয়েকজন জেলে-নদী সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও উপজেলায় কর্মরত প্রেসক্লাবের সাংবাদিক বৃন্দ।

এই সময় মেঘনা উপকূলের নানা সমস্যার কথা তুলে ধরে জেলেরা জানান,একজন লোক জেলে হতে হলে প্রথমত তার জেলে কার্ড থাকতে হয়।এ জেলে কার্ড তৈরীর শুরুতেই বিড়ম্বনার শিকার হন তারা। প্রকৃত জেলে হলেও মৎস্য কর্মকর্তার নির্ধারিত কিছু দালালের মাধ্যমে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে জেলে কার্ড তৈরি করতে হয়। এর পর মেঘনায় বা গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়েও পড়েন বিভিন্ন সমস্যায়।

এতে প্রতিনিয়ত জলদস্যুদের কবলে পড়তে হয় তাদের। নদীতে নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ড জেলেদের নিরাপত্তার জন্য নিযুক্ত থাকলেও উল্টো তাদের হাতে আরো বেশি লাঞ্ছনার স্বীকার হতে হচ্ছে তাদের। আবার নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ড কারেন্ট জালের অভিযানের নামে বিকাশের মাধ্যমে তাদের স্বজনদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়।

এক শ্রেণির দালাল রয়েছে, তারা নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ডের পক্ষে জেলেদের আত্মীয়-স্বজনদের কাছে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে বিকাশের মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেয়। টাকা না দিলে চলে অমানবিক নির্যাতন। আবার কখনো তাদের মেরে নদীতে ফেলে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়।

মা ইলিশ রক্ষা ও ঝাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহে সরকারের নিষেধাজ্ঞা সময় জেলেদের জন্য খাদ্য সহায়তার নামে যে চাল দেওয়া হয়,তা দিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে বেঁচে থাকা সম্ভব হয়না। তাই তাদের দাবি এ খাদ্য সহায়তা না দিয়ে জেলেদের ঋনের ব্যবস্থা করলে তারা পরিবার পরিজন নিয়ে ভাল ভাবে বেঁচে থাকতে পারবে।

মেঘনা বা গভীর সমুদ্রে ইলিশ উৎপাদনে সরকার যে পরিমান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে; সে মোতাবেক জেলেদের তেমন কোন সুরক্ষা দেওয়া হচ্ছে না। তাই তাদের দাবি তাদের পরিবার পরিজনের কথা চিন্তা করে সরকার যেন তাদের দিকে নজর দেন। অন্যদিকে এসব জেলেরা দাদন ব্যবসায়ী মহাজনের খপ্পরে পড়ে সর্বশান্ত হচ্ছেন বলেও জানান তারা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর