কানাইঘাট(সিলেট)প্রতিনিধিঃ সিলেটের কানাইঘাট দিঘীরপার ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা কামান্ডার মাস্টার আনোয়ারুল হক চৌধুরী সহ তার ছেলে ও ভাতিজাদের বিরুদ্ধে সাজানো ধর্ষনের অভিযোগ দিয়ে হয়রানীর চেষ্টাসহ মানহানির প্রতিবাদে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্টিত হয়েছে।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের উদ্যোগে গতকাল রবিবার দুপুর ১২টায় কানাইঘাট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এ প্রতিবাদ সভা অনুষ্টিত হয়। সিলেট জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কামান্ডার ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হেকিম শামিমের পরিচালনায় বিপুল সংখ্যক মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে প্রতিবাদ সভায় মুক্তিযোদ্ধারা বলেন মাস্টার আনোয়ারুল হক চৌধুরী এলাকার একজন প্রবীন মুরব্বী অবসর প্রাপ্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও একজন সৎ বীর মুক্তিযোদ্ধা।
তিনি উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কামান্ডের ডেপুটি কমান্ডার ছিলেন, পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাচাই কমিটির সাথে সম্পৃক্ত রয়েছেন। জমি জমা সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধ নিয়ে তাঁরই বাড়ীর পারভীন বেমগ নামে একজন মহিলা ৭২ বছর বয়সী এ বীর মুক্তিযোদ্ধা সহ তার ২ ছেলে ও ভাই-ভাতিজাদের নামে থানায় সাজানো ধর্ষণের অভিযোগ দিয়ে মামলা করতে চাইলে কানাইঘাট সার্কেল এ.এস.পি আব্দুল করিম ও থানার ওসি তাজুল ইসলাম পি.পি এম এলাকার সরজমিনে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ মিথ্যা বলে প্রমাণ পান।
তার পর ও এই মহিলা এবং তার সাথে থাকা কুচক্রি মহল বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ারুল হক চৌধুরী সহ তার পরিবারের সদস্যদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীর চেষ্টা করলে উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধাগন ও তাদের সন্তানরা যে কোন ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করতে বাধ্য হবেন।
সেই সাথে প্রতিবাদ সভা থেকে এ সাজানো ধর্ষণের ঘটনার সাথে যারা জড়িত রয়েছে তাদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য থানা পুলিশের প্রতি সভা থেকে আহব্বান জানানো হয়।
প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সদস্য উপজেলা আওয়ামীলীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক সুবেদার আফতাব উদ্দিন, উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কামান্ডার নাজমুল হক, নজমুল হক, সাবেক ডেপুটি কামান্ডার খলিলুর রহমান, লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা কামান্ডার সামছুল হক সহ বিভিন্ন ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা কামান্ডারগন। প্রতিবাদ সভা শেষে একটি মিলিছ শহীদ মিনার থেকে শুরু হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সহ থানার সামনে প্রদক্ষিণ শেষে প্রশাসন চত্তরে গিয়ে শেষ হয়।