সোহেল হোসেন,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নে জমিজমা বিষয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে হামলা চালিয়ে নারী পুরুষ সহ ৫ জনকে রক্তাক্ত জখম করার অভিযোগ উঠেছে।
জায়গা জমি নিয়ে পূর্ব থেকে চলমান মামলার তদন্ত শেষে হামলাকারীরা অতর্কিত ভাবে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আক্রমণ চালায়। ঘটনাটি ঘটেছে তেয়ারিগঞ্জ ইউনিয়নের বিনোদ ধর্মপুর গ্রামের কাজিম উদ্দিন খলিফা বাড়িতে
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, নূর মোহাম্মদের ছেলে মোঃসেলিম প্রকাশ ইমরান হোসেনের সাথে দীর্ঘদিন ধরে একেই বাড়ীর মো: আবদুস সাত্তারের সাথে জমিজমা নিয়ে মামলা মোকদ্দমা চলে আসছিল।ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা চলমান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, মো: মামুন পাটোয়ারী ও তার সহায়ক মো: আজম খান বৃহস্পতিবার বিকাল ৩ ঘটিকায় সময় তদন্ত করে যাওয়ার পূর্ব থেকে পরিকল্পিত ভাবে আবদুস সাত্তারের ছেলে ইউসুফ(৩৫) সাইফুল(২৪) শরীফ(৩০) জাকির(৩৭) রাসেল(২৪)রিজন(১৯)কুলসুম বেগম(৩৩) নয়ন বেগম(৪৫) ও আবুল কাশেমের ছেলে রাশেদ(২৪) আরো অজ্ঞাত ১০ থেকে ১৫ জন সন্ত্রাসী সংঘবদ্ধ হয়ে মোঃ সেলিমের বসত বাড়িতে ঢুকে হামলা করে ঘর ভাংচুর করে।
এই সময় তাদের হাতে থাকা ধারালো ছেনি ও লোহার রড নিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করে এতে মো: কবির হোসেন, জাকিয়া বেগম, সুফিয়া খাতুন, স্বপন ও সোহেল গুরুতর ভাবে রক্তাক্ত জখম হয়।
তাদের আত্মচিৎকারে স্থানীয় এলাকাবাসী মো: নুর করিম,শামসুল আলম শ্যামল, মুনছুর আহমেদ, দুলামিয়া, আবুল খায়ের, দেলোয়ারা বেগম, এগিয়ে এলে আবদুস সাত্তারের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনী রা কোনভাবে বাড়িতে প্রবেশ করতে দেয় না।
স্থানীয়রা লক্ষ্মীপুর মডেল থানা পুলিশকে খবর দিলে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদেরকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।পরে অবস্থার অবনতি হলো কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
এই বিষয়ে সেলিমের দাবী অভিযুক্ত আবদুস সাত্তারের ছেলে ইউসুফ আলী তার নিকট থেকে তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না পেয়ে দফায় দফায় হামলা ও হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছিলো।
তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক হুছাইন তিনি জানান, প্রকাশ্যে আব্দুস সাত্তারে ও তার ছেলে ইউসুফ সঙ্গবদ্ধ হয়ে ১০/ ১৫,জন ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দিয়ে পিটিয়ে কুপিয়ে আহত করেছেন ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে তাদেরকে রক্তাক্ত অবস্থা উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এর আগে জমিজমা বিষয়ে একাধিকবার ভূমি সহকারী মামুন পাটোয়ারী তার সহায়ক আজম খান ইউপি সদস্য আবু তাহের, কোহিনুর বেগম, রৌশন আক্তার স্থানীয় মান্যগণ্য রাজনীতিবিদ সহ অনেকে ছিল কাগজপত্র দেখে দখল শর্তে তিন বার আবুল খায়ের, ও নূর মোহাম্মদকে বুঝিয়ে দেয়া হয়। এর আগে আদালতের রায় পেলেন আবুল খায়ের এই নিয়ে আব্দুস সাত্তারের ছেলে ইউসুফ বলেন,উনারা চেয়ারম্যান-মেম্বার সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ কাউকে মানে না।
আব্দুস সাত্তারের ছেলে ইউসুফকে সমাজের মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে স্থানীয়রা চিনেন তারা চেয়ারম্যান মেম্বার গণ্যমান্য কাউকে পরোয়া করে না তাদের একাধিক মামলা আছে।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: জসিম উদ্দিনের সাথে আলাপকালে তিনি জানান – ‘আমি মারামারি ঘটনাটি শোনামাত্রই ঘটনাস্থলে পুলিশ এস, আই, মোহাম্মদ হান্নানা মিয়াজী কে পাঠিয়েছি, এই মারামারিকে কেন্দ্র করে মামলা দায়ের করা হয়েছে আসামীদেরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।