আব্দুল্লাহ খিজির,স্টাফ রিপোর্টারঃ প্রধান শিক্ষক এবং সহকারি প্রধান শিক্ষকের নেতৃত্বে স্কুল ভবনেই চলছে রমরমা কোচিং বাণিজ্য। সরকারি নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে এই কোচিং বাণিজ্য চলছে টাঙ্গাইলের নাগরপুর শহীদ শামসুল হক পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে।
বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে এর সত্যতা পাওয়া গেছে স্কুল ভবনগুলো ঘুরে। করোনাকালিন স্কুল বন্ধ থাকায় আর শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখার জন্য এই প্রাইভেট পড়ানো হচ্ছে বলে দাবি করেছেন তারা। জানা যায়, ১৯৭১ স্থালে স্থাপিত হয় নাগরপুর শহীদ শামসুল হক পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন অভিভাবকের অভিযোগ, শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখার দাবিতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কেতাব আলী ও সহকারি প্রধান শিক্ষক জুলহাস উদ্দিন শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের লোভ দেখিয়ে দীর্ঘদিন যাবত চালাচ্ছেন এই কোচিং বাণিজ্য। ভালো ফলাফলের আশায় বাধ্য হয়েই ওই কোচিং সেন্টারে পাঠাতে হচ্ছে তাদের শিক্ষার্থীদের।
কমপক্ষে স্কুলের শতাধিক ছাত্রী ও বহিরাগত ছাত্র পড়ছে ওই কোচিং সেন্টারে। বেতনও নেয়া ছাত্রী প্রতি পাঁচশ টাকা। তবে স্কুল ভবনে কিভাবে প্রধান শিক্ষক আর সহকারি প্রধান শিক্ষক এই কোচিং বাণিজ্য চালাচ্ছেন এ নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ তারা।
সরেজমিন বিদ্যালয় ভবনের নিচতলার তিনটি কক্ষে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের পড়াতে দেখা গেছে। একটি কক্ষে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণীর মোট ১৩ জন শিক্ষার্থীকে পড়াচ্ছেন প্রধান শিক্ষক কেতাব আলী।
ষষ্ঠ শ্রেণীর গণিত আর সপ্তম শ্রেণীর ১৪ জন শিক্ষার্থীকে ইংরেজি পড়াচ্ছেন সহকারি প্রধান শিক্ষক জুলহাস উদ্দিন আর অস্টম শ্রেণীর ১১জন শিক্ষার্থীকে ইংরেজি পড়াচ্ছেন বিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষক মোঃ রফিকুল ইসলাম।
স্কুল ভবনে প্রাইভেট পড়ানোটা ভুল হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন নাগরপুর শামসুল হক বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কেতাব আলী।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার লায়লা খানমের সাথে মুঠো ফোনে কোচিং বানিজ্যের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
নাগরপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মনিরুজ্জামান বলেন, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত জবাব চাইব, তাদের জবাব দেয়ার পর উর্ধতন কতৃপক্ষের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।