সবুজ সরকার বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি:
সারাদেশের ন্যায় সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলায় ১৫ই আগস্ট উপলক্ষে বেলকুচি পৌরসভা কর্তৃক ১৫ই আগস্টে বঙ্গবন্ধু সহ সকল শহীদদের ছবি সংবলিত শোক ব্যানার তৈরি করা হয়। ১৪ (আগস্ট) দুপুরে সেই ব্যানার বেলকুচি উপজেলা আ’লীগ কার্যালয়ে লাগাতে গেলে বেলকুচি উপজেলা আ’লীগের সাধারণ-সম্পাদক ফজলুল হক সরকার শোক ব্যনার লাগাতে বাঁধা দেয়।
এক পর্যায়ে নিজের অপরাধ থেকে বাঁচতে প্রাণনাশের হুমকির দিয়েছেন এমন মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে থানায় জিডি করেন। শোক দিবসের ব্যানার আ’লীগ কার্যালয়ে লাগাতে না দেওয়ায় নেতাকর্মীদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। নেতাকর্মীদের চাপে সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক সরকার বঙ্গবন্ধু সহ সকল শহীদের সংবলিত শোকের ব্যনার লাগাতে দিতে ব্যধ হন।
এ ব্যপারে মেয়র সাজ্জাদুল হক রেজা জানান, বেলকুচি পৌরসভা থেকে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহীদদের প্রতি মাগফেরাত কামনায় দোয়া মাহফিল ও স্মৃতিচারণ এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি সহ কাঙ্গালী ভোজের কর্মসুচি হাতে নেই। সেই কর্মসুচির আলোকে বেলকুচি পৌরসভা কর্তৃক ১৫ই আগস্টে বঙ্গবন্ধু সহ সকল শহীদদের ছবি দিয়ে শোক ব্যানার তৈরি করা হয় এবং এই শোক ব্যানারগুলো পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ড সহ পৌরসভার অন্তভুর্ক্ত জনবহুল স্হানগুলোতে লাগানো হয়।
পৌরসভা কর্তৃক জাতীয় শোক দিবসের সেই ব্যানার ১৪ই আগস্টে বেলকুচি আওয়ামীলীগ কার্যালয়ের সামনে পৌরসভার পিয়ন ব্যানার লাগাতে যায়। তখন বেলকুচি উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক সরকার বাধা দেয়।
শোক দিবসের ব্যনার লাগাতে বাধা দেওয়ার অপরাধ থেকে বাঁচতে ও ঘটনাটিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে ফজলুল হক সরকার প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছি এমন মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আমার বিরুদ্ধে থানায় একটি বানোয়াট জিডি করেছে। আমি নাকি ফজলুল হক সরকারকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছি। তাকে আ’লীগ কার্যালয় থেকে চলে যেতে বলেছি।
তিনি আরও বলেন, এ তথ্য সম্পূর্ন মিথ্যা ভিত্তিহীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এটি সম্পূর্ন ষড়যন্ত্রমুলক সাজানো নাটক। পৌরসভার শোক দিবসের ব্যানার লাগানোর কাজে বাধা দেওয়ায় আমি তীব্র প্রতিবাদ জানাই। এছাড়া পৌরসভার পক্ষথেকে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
এ ব্যপারে বেলকুচি উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক সরকার জানান, ১৫ আগস্টে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে পৌরসভার ব্যানার আ,লীগ কার্যালয়ে লাগাতে আসলে আমি ব্যানার লাগাতে বাধা দেই। তখন রুবেল ও আলোক নামের ছেলেকে বলি আ,লীগ কার্যালয়ে ব্যনার লাগাতে অনুমতি লাগে এই কথা বলার পরে তারা আমাকে গালি গালাজ করে। কিছুক্ষণ পরে বেলকুচি পৌর মেয়র সাজ্জাদুল হক রেজা এসে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে চলে যায়। পরে দলীয় সিদ্ধান্তে ১৭ তারিখে থানায় জিডি করি।
এ বিষয়ে বেলকুচি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম মোস্তফা ১৭ তারিখে জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।