শিরোনাম
বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ০১:৫০ পূর্বাহ্ন

কেরানীগঞ্জের কালীগঞ্জে নূর সুপার মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড।

ছিদ্দিকের পাঠানো তথ্য চিত্রে / ৪৫৩ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : সোমবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১

রাজধানী ঢাকার বুড়িগঙ্গার তীরঘেঁষা কেরানীগঞ্জের কালীগঞ্জ নূর সুপার মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। রবিবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টায় এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয় বলে জানা যায়। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট প্রায় দুই ঘন্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

নূর সুপার মার্কেটের লেবার মোঃ শহীদুল ইসলাম জানান, রাত ১১টার দিকে বৃষ্টি হচ্ছিল এসময় বিদ্যুৎ চলে যায়। পরে জেনারেটর চালু করার পর পরই হটাৎ ফায়ার করে শব্দ হয়। এর পরেই এখানে আগুন ধরে যায়। তিনি বলেন, আমি ২৫ থেকে ৩০টি দোকান পুরতে দেখেছি। তবে ভেতরে আরো অনেক দোকান রয়েছে।

ঘটনাস্থলে পঞ্চাশোর্ধ এক নারীকে দেখা যায় তিনি কাউকে খুঁজছেন। পরে কথা বলে জানা যায়, আগুন লাগার খবর পেয়ে বিক্রমপুর থেকে তিনি নূর সুপার মার্কেটে ছুটে এসেছেন তার ছেলে মোঃ রতনের (২৩) খোঁজে। তিনি বলেন, এই মার্কেটের ৫ নং গলিতে আমার ছেলের জিন্স প্যান্টের দোকান। মোবাইলে কথা হয়েছে ছেলের সাথে তবে এখানে আসার পর এখনো দেখা হয়নি। ছেলের দোকানের কি অবস্থা তা তিনি জানেন না।

কেরানীগঞ্জ গার্মেন্ট ব্যবসায়ী মালিক সমিতির অফিসের কর্মচারী মোঃ হৃদয় বলেন, রাত ১১টার দিকে আগুন দেখতে পেয়েই আমাদের অফিস থেকে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়া হয়। প্রথমে আমরা মার্কেটের লোকজন ও স্থানীয়রা আগুন নেভাতে পাশের খাল থেকে পানি নেয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু খালে ময়লা ভর্তির কারণে সেটা সম্ভব হয়নি। পরে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ও স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
তিনি আরো বলেন, আগুন লাগার আগেই দোকান বন্ধ করে সবাই বাসায় চলে যাওয়ায় হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি তবে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে অনেক।

প্রতিদিনের ন্যায় আজও রাত ৮টার পরে মার্কেট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সবাই মার্কেট থেকে চলে যায়। পরে আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে এসে আশেপাশের দোকানদারেরা যে যার মতো তাদের মালামাল অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন এখানে প্রায় ৩থশ দোকান পুরে গেছে। যার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ হবে বিশাল।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ডেপুটি ডাইরেক্টর (ঢাকা বিভাগ) দিনমনি শর্মা বলেন, আমরা রাত ১১টায় খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করি। সদরঘাট, পোস্তগোলা ও ঢাকা থেকে আমাদের মোট ১০টি ইউনিট এখানে কাজ করছে। এখানে বিশাল মার্কেট যার পুরোটাই টিনশেড তাছাড়া রাস্তা সংকীর্ণ হওয়ায় আমাদের কাজ করতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। আগুন এখন নিয়ন্ত্রণে।

আগুনের সূত্রপাত ও ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে জানতে চাইলে এ কর্মকর্তা বলেন, আপাতত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ও আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পরে তদন্ত সাপেক্ষে নিশ্চিত হওয়া যাবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ