আব্দুল্লাহ খিজির,স্টাফ রিপোর্টারঃ টাঙ্গাইলের নাগরপুরে মোকনা ইউনিয়নের কেদারপুর এলাকায় প্রবাহমান ধলেশ্বরী নদীর দুই পাড়ে অবাধে সারা বছর বালু উত্তোলনের ফলে বর্তমান বন্যা পরিস্থিতিতে ব্যাপক এলাকা জুড়ে তীব্র ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। এতে বড় ক্ষতির আশংকা তৈরি হচ্ছে এই ধলেশ্বরী নদী উপর নির্মিত শেখ হাসিনা সেতুর (কেদারপুর সেতু)।
সরেজমিনে, গিয়ে দেখাযায়, সেতুর দুই পাড়ে বিস্তৃত এলাকা নদী গর্ভে চলে গেছে এবং সেতুর পিলারের ভুগর্ভস্থ মাটি সরে যাচ্ছে। স্থানীয় এলাকাবাসী কাশেম মিয়া বলেন।
শুকনা মৌসুমে দিনে-রাতে এখানে অবাধে বালু উত্তোলন চলে, এতে বন্যা আসলে আশেপাশের ফসলি জমিসহ ধীরে ধীরে সব ভেঙ্গে নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। দীর্ঘ দিন যাবৎ কেদারপুর, মামুদনগর, মোকনা ও পাকুটিয়া এলাকা থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনের সাথে জড়িত জহিরুল নামক ব্যক্তির সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।
উল্লেখ্য জহিরুলের বিরুদ্ধে সরকারি জায়গা থেকে বালু উত্তোলনের জন্য বেশ কয়েকটি মামলা চলমান রয়েছে। গুরুত্ব বিবেচনায় ধলেশ্বরী নদীর উপর এই শেখ হাসিনা সেতু ব্যবহার করে নাগরপুর, মামুদনগর, কেদারপুর, দেলদুয়া, মির্জাপুরসাটুরিয়া সহ সরাসরি ঢাকা যাতায়াত সাধিত হয়।
অবৈধ বালু উত্তোলনের ফলে সেতুসহ নদী এলাকার আশেপাশের বসত বাড়ি হুমকির মুখে পড়ে গেছে। সেতু, আবাদি জমি এবংবসত এলাকায় অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করতে জোড়ালো দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।
নাগরপুর উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে অভিযান প্রতিনিয়ত চলমান থাকে। এর আগেও কয়েকবার অভিযান চালিয়ে জেল-জরিমানা করা হয়েছে।
উক্ত বিষয়ে নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সিফাত-ই-জাহান বলেন,কেদারপুর শেখ হাসিনা সেতু এলাকার অবৈধ বালু উত্তোলনের বিষয়ে আমরা খোঁজ-খবর নিয়ে দ্রুত আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।