সোহেল হোসেন’লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ লক্ষীপুরে রামগঞ্জ উপজেলা ও পৌর ছাত্রলীগের কমিটির পদে নিয়ে এক সময়ের ছাত্রদল নেতা এবং বিএনপি পরিবারের সন্তান রাকিবুল হাসান শান্ত মরিয়াহ হয়ে উঠেছে।
চাহিদা মোতাবেক পদ পেতে জেলা কমিটির দুই নেতার সাথে নানা অপকৌশলে দেন দরবার। এমন অভিযোগ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়ছে।
দলীয় একাধিক সুত্রে জানায়,রামগঞ্জ পৌর সোনাপুর ওয়ার্ড়ের ২০১২ইং সালে গঠিত ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ২০১৪ইং সালে অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে আলোচনাতে আসে। ২০১৬ইং সালে টাকার বিনিময়ে রামগঞ্জ ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক পদ কিনে নেয়ার অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে । নতুন মেরু করনে শান্ত দলীয় গঠনতন্ত্র পরিপস্থী শান্ত ট্রেডার্স নামে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স করে টেন্ডারবাজিতে বেপোয়া হয়ে উঠে।
এলাকাবাসী জানায়,রাবিকুল হাসান শান্ত উপজেলার কয়েকজন বিপদগামী ও অর্থলোভী আ‘লীগ নেতার আশ্রয় প্রশ্রয়ে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক পদ বাগিয়ে নেয়। তার পিতা আব্দুল মতিন সোনাপুর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারন সম্পাদক ছিলেন। সেই সুবাদে রাকিবুল হাসান শান্ত ওয়ার্ড ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হয়। তার বড় ভাই মানিক হোসেন পৌর যুবদলের সহ-সভাপতি, মেজ ভাই মো: নুরনবী জামায়ের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত, বড় মামা লুৎফর রহমান প্রকাশ এল রহমান ঢাকার তেজগাও থানা বিএনপির সভাপতি, ছোট মামা হাবিবুর রহমান রামগঞ্জ পৌর বিএনপির সহ-সভাপতির পদ দখল করে রয়েছে।
রাকিবুল হাসান শান্ত একজন বিবাহিত ও প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী হয়েও উপজেলা ছাত্রলীগের পদ বাগিয়ে নিতে নানা ভাবে তদবির করে যাচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড়ের ছাত্রলীগের সভাপতি/সাধারন সম্পাদকসহ তৃণমুলের নেতারা অভিযোগ তুলেছেন রাকিবুল হাসান শান্ত একজন অনুপ্রবেশকারী, মাদক সম্রাট হওয়ায় দল থেকে বহিস্কার করার জোর দাবী তুলা হয়েছে।
উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ওমর ফারুক ও সাধারন সম্পাদক মিজানুর রহমান বলেন, আমরা ছাত্রদলের দায়িত্বে থাকাবস্থা সোনাপুর ওয়ার্ড় বিএনপির সাধারন সম্পাদক আব্দুল মতিনের সুপারিশে রাবিকুল হাসানকে কমিটিতে রেখে ছিলাম।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত রাকিবুল হাসান শান্ত বলেন, স্কুল জীবন থেকে আমি ছাত্রলীগের সাথে সংযুক্ত থাকায় সুস্থধারার রাজনীতি করি বলেই শীর্ষস্থানীয় নেতারা আমাকে রামগঞ্জ কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক পদ দিয়েছেন। ওই সময় কেউ কথা না বললেও এখন উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটির পদের জন্য লড়াই করায় স্বার্থানেষ্বী একটি মহল আমার বিরুদ্ধে নানা কুৎসা রটাচ্ছে। এগুলো ভিত্তিহীন পাগলের প্রলোভন মাত্র।এ সব মিথ্যা অপপ্রচার করে বঙ্গবন্ধু আদর্শের সৈনিককে দাবিয়ে রাখা যাবে না।