কুড়িগ্রামে নদ নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে ফলে বন্যার পানি চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের প্রায় ৬০ হাজার মানুষ পানি বন্দী হয়ে পড়েছে। বর্তমানে বন্যার পানি স্থির থাকায় কৃষকের আবাদি ফসল ক্ষতির আশাংকা করছে স্থানীয়রা। রোপা আমন ধান ও বিভিন্ন ধরনের শাক সবজি নষ্টের আশঙ্কা করেন তারা।
কুড়িগ্রামে বিভিন্ন এলাকা জুড়ে বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে ১৫ হাজার ৫২০ হেক্টর ফসলি জমি।ক্ষতির সন্মখিন হয়েছে এ অঞ্চলের হাজার হাজার কৃষক।জেলার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে ৬০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
গবাদিপশুর গো-খাদ্য সংকটে তাদের গৃহপালিত পশু বাঁচাতে পানির মধ্যে ডুবে থাকা ঘাস কেটে নিয়ে খাওয়াচ্ছে। প্লাবিত এলাকাতে যোগাযোগের এক মাত্রা ভরসা নৌকা আর কলাগাছের ভেলা।
সোমবার ৩০ আগস্ট সন্ধা ৬ টার সময় ধরলা নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে ও ব্রক্ষপুত্র নদীর পানি বিপৎসীমার ৩১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
কুড়িগ্রামের জেলা প্রসাশক মোহাম্মদ রেজাউল করিম গণমাধ্যমকে জানান বন্যা মোকাবেলায় বন্যার্তদের জন্য নয়টি উপজেলায় ২৮০ মেট্রিকটন চাউল ও ১২ লক্ষ্য টাকা বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে।