শিরোনাম
বালিয়াডাঙ্গী সীমান্তে বিএসএফ’র হাতে দুই বাংলাদেশী যুবকক আটক। গার্ডকে মারতে এসে আইনজীবীকে নির্মমভাবে হত্যা, ৫ জন গ্রেফতার। বৃষ্টিতে ‘বিদ্যুৎবিভ্রাট’রাণীশংকৈলে মোমবাতির আলোতে এসএসসি পরীক্ষা। ডিমলা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের দুর্নীতির অভিযোগে বদলি। মাধবপুরে এসএসসি সমমান পরীক্ষার প্রথম দিনে ৩৫ জন অনুপস্থিত। কালিয়াকৈরে আগুনে পুড়ে গেল ৩ টি ঝুটের গোডাউন। গাঁজায় ইসরাইলি হামলার প্রতিবাদে তাহিরপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ। রায়পুরায় ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম। ইনডাকশান প্রশিক্ষণ ডিজি এ্যাওয়ার্ড পেলেন নাজমুল হক। পরিবেশ দুষণরোধে পলিথিনের ব্যবহার বর্জন ও প্লাষ্টিকের পুন:ব্যবহার জনসচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন।
শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ০২:১৬ অপরাহ্ন

নাগরপুরে ধসে গেছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,অনিশ্চিত পাঠদান।

মোঃ আব্দুল্লাহ খিজির, স্টাফ রিপোর্টার,টাঙ্গাইল / ৩৫৪ বার পড়া হয়েছে
প্রকাশের তারিখ ও সময় : রবিবার, ২৯ আগস্ট, ২০২১

টাঙ্গাইলের নাগরপুরে সাড়টিয়া গাজী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন ধসে পড়ায় বিদ্যালয়ে শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালনা করা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যালয়ের ভবনটি পূণঃনির্মান করা না হলে যে কোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনার আশংকা করছে স্থানীয় জনসাধারণ।

জানা যায়, উপজেলার দপ্তিয়র ইউনিয়নে উল্লেখিত বিদ্যালয়টি ধ্বসে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশংকায় গত ৪ বছর যাবত বিদ্যালয়টির মূল ভবনে শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেন না কর্মরত শিক্ষকরা। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও এসএমসি কমিটির সদস্যরা জানান ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটির বিষয়ে বার বার উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেও কোন সুরাহা হয়নি।এসময় তারা আরো বলেন এখন বর্ষা মৌসুম।শিক্ষার্থীর উপস্থিতি না থাকলেও ভবনটি রক্ষাণাবেক্ষনের ব্যবস্থ করা আশু প্রয়োজন।তা না হলে যে কোন সময় ভবন ধব্বসের বড় ধরনের দুর্ঘটনার আতঙ্ক বিরাজ করছে স্থানীদের মধ্যে।

সারটিয়া গাজী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯৩৮ সালে নির্মাণ করা হয়। পরবর্তীতে ২০০৮ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) থেকে বিদ্যালয়ের একটি পাকা ভবন নির্মাণ করা হয়। পরে ২০১৬ সালের বন্যায় বিদ্যালয়ের সামনের মাটি ধব্বসে গিয়ে বিশাল গর্তের পুকুরে পরিনত হয়েছে।মূলত এই গর্তের বিদ্যালয়ের মূল ভবনের কয়েকটি শ্রেণীকক্ষ ধ্বসে পড়ে যায়।এ ভাবে ক্রমন্বয়ে বিদ্যালয়টি প্রায় বিলুপ্তির পথে। এতে শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষ সংকটের কারনে গত ৪ বছর যাবত বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্লাস করতে পারছে না।বিদ্যালয়ের খেলার মাঠটি ধব্বসে যাওয়া শিক্ষার্থীদের সহশিক্ষা খেলাধূলা করা সম্ভব হচ্ছে না,ফলে তাদের মেধা বিকাশ ব্যহত হচ্ছে। নষ্ট হচ্ছে শিক্ষার পরিবেশ।

এ বিষয়ে সারটিয়া গাজী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোরশেদ আলম জানান,বিদ্যালয়ের ভবনটি নিয়ে একাধিকবার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নেয়ার তাগাদা দিয়েও কোন সুরাহা হয়নি।বর্ষা মৌসুমেও ভবনটি আরো ভাঙনের আশংকা করা হচ্ছে।করোনাকালিন ছুটির জন্য বিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে। যে কোন সময় সরকার বিদ্যালয় খোলার সিদ্ধান্ত এলে ঝুকিপূর্ণ এ ভবনে শিক্ষাকার্যক্রম অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতে পাঠদানের কথা চিন্তা করে হলেও জরুরীভাবে বিদ্যালয়টি ভাঙনের হাত থেকে রক্ষার দাবি করেন স্থানীয়রা।

এ বিষয়ে নাগরপুর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা সিফাত-ই-জাহান বলেন,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত এলে বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় অস্থায়ি ভাবে বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার উদ্যোগ গ্রহন করা হবে।বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ ও ছেলে মেয়েদের খেলার মাঠ সংস্কারের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর