সারোয়ার হোসেন,তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ বছর জুড়ে নিয়োমিত অনলাইন ক্লাশেই দারুন উপকৃত হচ্ছেন রাজশাহীর তানোর মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীরা। করোনাভাইরাসের কারনে এক বছরের অধিক সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও প্রথম থেকে এখন পর্যন্ত মহিলা কলেজে নিয়োমিত চলে আসছেন অনলাইন ক্লাশ। এতে করে শিক্ষার্থীরা নিয়োমিত ভাবে ক্লাশে যুক্ত থেকে লিখা পড়া করতে পেড়েছেন। ফলে পড়া লিখা থেকে কোনভাবেই বঞ্চিত হননি শিক্ষার্থীরা। জানা গেছে, গত বছর থেকে একযোগে সারাদেশে মহামারী করোনাভাইরাসের জন্য একযোগে সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। বিপাকে পড়ে শিক্ষার্থীরা। লকডাউন শিথিল হলে সরকারীভাবে নির্দেশনা আসে অনলাইনে ক্লাশ নেওয়ার জন্য। নির্দেশনার পর থেকেই নিয়োমিত ভাবে অনলাইন ক্লাশ চালিয়ে যাচ্ছেন মহিলা কলেজের শিক্ষকরা। যার কারনে শিক্ষার্থীরা খুবই উপকৃত হয়েছেন।
একাধিক শিক্ষার্থীরা জানান, অনলাইনে ক্লাশ হওয়ার সময় স্যারেরা আমাদেরকে মোবাইল ফোনে জানিয়ে দেন। আমরাও ক্লাশ হওয়ার সময় যুক্ত থাকি। এতে করে আমারাও পড়া লিখা নিয়োমিত ভাবে করতে পারি। যার কারনে লিখা পড়া চলেছে প্রতিদিন। এখন শোনা যাচ্ছে ধাপে ধাপে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হবে। যদি অনলাইনে নিয়োমিত ক্লাশে সংযুক্ত না থাকতাম তাহলে অনেক পিছিয়ে যেতাম। গ্রাম অঞ্চলে নেটওয়ার্কের সমস্যা এবং অনেকের কাছে এনড্রুয়েট মোবাইল না থাকার কারনে কিছুটা সমস্যা হলেও সেটা পরবর্তীতে অন্য কারো মোবাইলের মাধ্যমে ক্লাশের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো জানতে পারি।
খোজ নিয়ে জানা গেছে, তানোর পৌর এলাকার ৩নং ওয়ার্ড চাপড়া বাজার সংলগ্ন মুল রাস্তার পূর্বদিকে শিব নদীর ধার ঘেঁষে প্রতিষ্ঠিত মহিলা কলেজটি। শিক্ষার্থীদের থাকা খাওয়ার জন্য রয়েছে তিন তলা বিশিষ্ট আবাসিক ভবন। এই কলেজে বেশির ভাগ গ্রামীণ অঞ্চলের মহিলারা লিখা পড়া করেন। একাদশ, দ্বাদশ ও ডিগ্রির নিয়োমিত অনলাইনে ক্লাশ করাচ্ছেন বাংলা বিভাগে প্রভাষক হাবিবা খাতুন, আব্দুল্লাহ, ভুগোলে, প্রভাষক মুনসেফ আলী, ইংরেজি, মামুনুর রশিদ, গনিত সোহেল রানা, মতিউর রহমান, পদার্থ আমিনুল ইসলাম, রশায়ন মইনুল ইসলাম, জীব বিজ্ঞান রাফিজা ও অর্থনীতি মোল্লা আবু তারেক।
প্রভাষক মুনসেফ জানান, গত বছরে সরকারী ভাবে অনলাইনে ক্লাশ নেওয়ার ব্যাপারে নির্দেশনা আসার পর ২০ জুলাই থেকে এখন পর্যন্ত বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না খোলা পর্যন্ত অনলাইনে ক্লাশ চলবেই।
কলেজ অধ্যক্ষ অনুকুল কুমার ঘোষ জানান, যেদিন থেকে নির্দেশনা পাওয়া গেছে সেদিন থেকে ক্লাশ নেওয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে কোন ছাড় দেওয়া হয়নি। প্রতিদিন রুটিং অনুযায়ী ক্লাশ নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই মোতাবেক ক্লাশ চলমান রয়েছে। ক্লাশ নেওয়ার জন্য আগামীতে এইচএসসি পরীক্ষা দিতে শিক্ষার্থীদের তেমন সমস্যা না হওয়ার কথা। তবে তিনি আরো জানান, ক্লাশ নিতে গিয়ে দেখা যায় অনেক শিক্ষার্থী সংযুক্ত থাকতে পারেনা। কারন গ্রাম অঞ্চলে ইন্টারনেট ও এনড্রুয়েট মোবাইল অনেকের না থাকার কারনে। অবশ্য এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা পরামর্শ অনুযায়ী যার কাছে মোবাইল আছে তার নিকটে গিয়ে ক্লাশের ব্যাপারে জেনে নিতে পারবেন এধরণের পরামর্শ দেয়া হয়েছে শিক্ষার্থীদের। আমরাও খোজ নিয়ে দেখেছি এভাবেই শিক্ষার্থীরা তাদের পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে তিনি জানান।