কক্সবাজার প্রতিনিধিঃলকডাউন শিথিল করে সৈকত ও পর্যটনস্পট খুলার দুদিনের মাথায় কক্সবাজার সৈকতে গোসল করতে নেমে ইরফানুল হক মাহি নামের এক স্কুল ছাত্র নিখোঁজ হয়েছে। এসময় নিখোঁজ স্কুল ছাত্রের অপরসঙ্গীকে বিপদাপন্ন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
শনিবার (২১ আগস্ট) সন্ধ্যা পৌনে ৬ টার দিকে সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে এ নিখোঁজের ঘটনা ঘটে। বিপদাপন্ন শিক্ষার্থীদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। নিখোঁজের খুঁজে কাজ করছেন পুলিশ ও সংশ্লিষ্টরা।
নিখোঁজ শিক্ষার্থী ইরফানুল হক মাহি (১৫) কক্সবাজার শহরের টেকপাড়া কালুর দোকান (পেট্রোল পাম্পের বিপরীতে) এলাকার সিরাজুল হকের ছেলে। সে কক্সবাজার বায়তুশ শরফ জব্বারিয়া একাডেমির নবম শ্রেণীর ছাত্র।
নিখোঁজ শিক্ষার্থীর নিকট আত্মীয় জেলা ছাত্রলীগ নেতা আহমেদ ফরহাদ জানান, দীর্ঘ ১৪০দিন বন্ধ থাকার পর ১৯ আগস্ট কক্সবাজার সৈকত ও আশপাশের পর্যটন স্পষ্ট ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছে সরকার। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে পর্যটক আসার পাশাপাশি স্থানীয়রাও সৈকতের বালিয়াড়িতে আসছে।
শনিবার দুপুরের দিকে বন্ধু ওয়াহিদকে সাথে নিয়ে এরফানুল হক মাহি কক্সবাজার সৈকতে যান। সৈকতে ঘুরাফেরা করার পর তারা দুজন একপর্যায়ে গোসল করতে নামে। দীর্ঘক্ষণ গোসলকালে বেলা সাড়ে ৫টার দিকে অকস্মাৎ মাহি ও ওয়াহিদ ঢেউয়ের ফিরতি স্রোতে ভেসে যায়। তা দেখে সৈকতে কাজ করা লাইফগার্ড কর্মীরা দ্রুত ঝাপিয়ে পড়ে ওয়াহিদকে উদ্ধার করতে পারলেও মাহি পানিতে তলিয়ে যায়। খবর পেয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশ, বীচকর্মী, লাইফগার্ড ও মাহির স্বজনরা তাকে উদ্ধারে নানা জায়গায় তৎপরতা চালাচ্ছে।
লাইফগার্ড কর্মীরা জানায়, মাহি ও ওয়াহিদ সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে গোসল করতে নেমে একসময় পানিতে ভাসতে ভাসতে সমুদ্র গভীরে চলে যায়। তাদের ভেসে যেতে দেখে উপস্থিত লাইফ গার্ড সদস্যরা ওয়াহিদকে উদ্ধার করতে পারলেও তার বন্ধু মাহির সন্ধান পাননি।
তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজারের এসপি জিল্লুর রহমান বলেন, উদ্ধার কর্মীরা সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টসহ সাগরের সম্ভাব্য স্থানে উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। যেখান থেকে তারা ভেসে যায় সাগরের সেই অংশটা নদীর মতো হয়ে গেছে। স্রোতের টানে নিজেদের সামাল দিতপ পারেনি হয়তো কিশোরদ্বয়।