সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় পদ্মফুলের সমাহারে সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে তিতারগাড়া বিলের ফসলি জমির।পদ্মফুলের সৌন্দর্যপূর্ণ বিলটি এক নজর দেখার জন্য প্রতিদিন দর্শনার্থীরা ভীর করছে।অনেকে ফুলসহ বিলের,কেউবা ফুল হাতে সেলফি উঠে ফেসবুকে পোস্ট করে আনন্দ পাচ্ছে।
২/৩ বছর আগে অল্প জমিতে পদ্মফুলের বীজ সখের বশে ছিটিয়ে দিয়েছিল স্থানীয় এক ব্যবসায়ী। বছর ঘুরে না আসতেই পদ্মফুলের সমাহার ছড়িয়ে পড়েছে বিলের অনেকাংশ জায়গা নিয়ে। বর্ষার মৌসুমে বর্ষার পানিতে ফুলে সৌন্দর্য আরোও বেড়ে যাওয়ায় দর্শনার্থীদের নজর কেড়েছে।এলাকার ক’জন ফুল বিক্রির পেশায় নেমে গেছে।তারা গণমাধ্যমকে জানিয়েছে ক’বছরের মধ্যে ফুলের গাছ আরো বিস্তার লাভ করবে।এতে এলাকটি যেমন মানুষের মধ্যে পরিচিতি লাভ করবে অন্য দিকে ফুল ব্যবসায়ীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে।
সরেজমিনে উপজেলার বড়হর ইউনিয়নের ব্রক্ষ্মকপালিয়া গ্রামের গিয়ে দেখা যায় বিশাল এলাকা জুড়ে মালিকানা ফসলি জমিতে শোভা পচ্ছে ফুটে থাকা পদ্মফুলের সৌন্দর্য। আগে তিতারগাড়া বিল নামে পরিচিত জমিগুলোতে ইরি বোর ধানের চাষ করতো স্থানীয় কৃষকরা।
ওই গ্রামের আব্দুর রশিদ, নুর আলম,আব্দুল গফুরসহ একাধিক ব্যাক্তির সাথে কথা বলে জানায় পদ্মফুলের রহস্য।তারা জানান বছর দুইয়েক আগে বর্ষার মৌসুমে ৪/৫ টি পদ্মফুল ফুটে রয়েছে দেখা যায়।কিভাবে ওই ফুলগুলো বিলের মধ্যে ফুটেছিলো সে বিষয় তাদের জানা নাই। এর পর থেকে বিলের বিশাল এলাকা নিয়ে ছড়িয়ে পড়ে পদ্মফুলের গাছ। ইতিমধ্যে ফুটন্ত পদ্মফুল মানুষের দৃষ্টি আর্কষন করেছে।ফুল ফুটেছে বলে দুর-দুরান্ত থেকে মানুষ বিলের সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য ছুটে আসছে।
ব্রক্ষ্মকপালিয়া গ্রামের ক’জন ফুল ব্যবসায়ী জানান আমরা ভোর বেলায় ঘুম থেকে উঠে বিলের পদ্মফুল তুলে শহর অঞ্চলে বিক্রি করে আমাদের জীবিকা নির্বাহ করি।ফুল তোলার জন্য জামির মালিকেরা আমাদের কাছে থেকে কোন টাকা পয়সা বা ফুল তোলার জন্য বাঁধা দেয় না।
উপজেলা উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকতা মোঃ আজমল হক বলেন,পদ্মফুল জলজ উদ্ভিদ। এর বীজ এনে জমির মাটিতে বা বিলের পানিতে পুঁতে দিলে পদ্মগাছের জন্ম হয় ও ফুল ফোটে। গ্রোথ বেশি বলে দ্রুত পদ্মগাছ বিস্তার লাভ করে বিল বা ঝিলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে থাকে।