দীর্ঘ সময় ধরে বৈশ্বিক কোভিড-১৯ এর মহামারী ছোবলে বিপর্যস্ত বাংলাদেশ। লন্ড ভন্ড হয়ে গেছে দেশের মানবজাতি। সামনে এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ। অদৃশ্য ভয়াবহ এ সংক্রমনের কালো থাবার হাত থেকে দেশের প্রতিটি নাগরিকের মুল্যবান জীবন বাঁচতে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করছে সরকার।
পাল্লা দিয়ে চলছে ভয়ানক করোনা ভাইরাসের আক্রমন।করোনা প্রতিরোধে বিজ্ঞানীরা তৈরী করেছে করোনা ভ্যাকসিন বা টিকা। উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশ সরকারও দেশের প্রতিটি নাগরিকদের জন্য টিকা(ভ্যাকসিন) প্রদান কর্মসুচি চালু করেছে।
সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষেরা এ ভাইরাস হতে মুক্তি পেতে জীবন রক্ষায় স্বেচ্ছায় গ্রহণ করছেন এ রোগের টিকা।
সেদিক থিকে পিছিয়ে নেই আমাদের এ সমাজের অনগ্রসর তৃতীয় লিঙ্গের বা হিজড়া জনগোষ্ঠির লোকেরা। সাধারণ মানুষ সহ এ সব হিজড়াদের সচেতন করতে কাজ করে চলেছেন বগুড়ার একটি বেসরকারী এনজিও কর্মীরা। এ এনজিও কর্মী টিএমএস এস এর হিজড়া পুর্নবাসন প্রকল্পের বগুড়ার শেরপুর ও ধুনট উপজেলা অঞ্চলের প্রোগ্রাম অফিসার মোছাঃ মোর্শেদা হক (মুকুট মনি)। সুন্দ এ কাজ করে যাচ্ছেন। এদের একত্রিত করেছেন একটি প্লাটফর্মে।উদ্দোগী করেছেন করোনার টিকা গ্রহনে।এসব হিজড়ারা এখন টিকা নিতে মুকুট মনির নেতৃত্বে টিকা গ্রহনের নিবন্ধনের জন্য ব্যতিব্যস্ত।
শেরপুর স্থানীয় বাসষ্ট্যান্ড এলাকার উত্তম কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার থেকে টিকার নিবন্ধন করছেন তারা।শুধু তাই নয় টিকা গ্রহনের জন্য মোবাইলের মাধ্যমে ফিরতি (টিকা প্রদানের দিনক্ষণ) ম্যাসেজ প্রাপ্তির অপেক্ষার প্রহর গুনছে সেফালি, শিল্পী, রাজ্জাক, সফিকুল, নাজিম, সোহেল, বেশাখি ও কারিনা, বাতাসি, গোলাপী ও চৈতি হিজড়ারাও।
টিকা নিবন্ধনের সময় উপস্থিত ছিলেন, বেসরকারি এনজিও প্রতিষ্ঠান (টিএমএসএস) এর হিজড়া জনগোষ্ঠির উন্নয়ন প্রকল্পের শেরপুর-ধুনটের দায়িত্বে থাকা প্রোগ্রাম অফিসার মোছা. মোর্শেদা হক মুকুট মনি, টিকার নিবন্ধন ফরম তাদের হাতে তুলে দেন।
এসময় ওই কর্মকর্তা বলেন,ওই প্রকল্পের আওতায় থাকা হিজড়াদের সমাজে প্রতিষ্ঠিত করতে তারা বদ্ধ পরিকর। তাই ওই প্রকল্পের মাধ্যমে তাদের নানামুখি কাজের পথ দেখিয়ে দেয়া হচ্ছে। যেমনটা তাদের সেলাই কাজের প্রশিক্ষন প্রদানসহ বিভিন্ন ধরনের হাতের কাজ শিখিয়ে দেয়া এবং তাদের মাঝে দোকান ঘর ও মালামাল কিনে দিয়ে তাদেরকে ব্যবসা করার সুযোগ করে দিচ্ছে। এতে তারা সমাজে অবহেলিত না থেকে আর দশজন সাধারণ মানুষের মত বেঁচে থাকতে পারবে।