টানা ২০ বছর ধরে বিনাবেতনে চাকুরীর পরও এমপিও ভূক্ত না হওয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে অত্যন্ত মানবেতর জীবনযাপন করে চলেছে ১৮ জন শিক্ষককর্মচারী। তাদের ভবিষ্যৎ এখন বিপন্নের পথে। সংসার জীবনেও নেমে এসেছে অভাবের বাস্তবতা। করুন এ চিত্রটি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার মোহনপুর ইউনিয়নে প্রতিষ্ঠিত সাতবিলা দাখিল মাদ্রাসার।
উপজেলার সাতবিলা, ভাটবেড়া, মাহমুদপুরসহ প্রতিবেশি আরও কতিপয় গ্রামের কিছু শিক্ষিত যুবক সমন্বিতভাবে সরকারি সকল নিয়মনীতি মেনে ১৯৯৮ সালে এ মাদ্রাসাটি স্থাপন করেন। সরকারের নিয়ম অনুসারে ২০০১ সালে মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড প্রতিষ্ঠানটিকে পাঠদানের অনুমোদন দেন।এর আগে সরকারের জনবল কাঠামোনুযায়ী মাদ্রাসায় শিক্ষককর্চারী নিয়োগ দেওয়া হয়। যথানিয়মে ২০০৫ সালে একাডেমিক স্বীকৃতিও লাভ করে।
কাঙ্খিত শিক্ষার্থী ও ফলাফল তথা সরকারি বিজ্ঞপ্তির সকল নিয়ম অনুসরন করে একাধিকবার এমপিও এর জন্য আবেদন করেও এমপিও ভুক্ত হতে পারেননি ওই প্রতিষ্ঠান ও কর্মরত শিক্ষককর্মচারীরা।এতে তাদের মনে এখন হতাশার দীর্ঘশ্বাস বইছে।
এভাবে ২০ বছর ধরে বিনাবেতনে চাকুরী করে দুর্বিসহ মানবেতর জীবনযাপন করে সরকারের নিয়মনীতি মেনে প্রতিষ্ঠানের সকল কাজ সম্পন্ন করে জীবনের শেষ বেলাতে হলেও এমপিও ভুক্ত হওয়ার আশায় তারা আজ চাতক পাখি। বুক বেঁধে বসে আছে সরকার প্রধানের মুখপানে চেয়ে।
এ বিষয়ে সাতবিলা দাখিল মাদ্রাসার সুপারিন্টেনডেন্ট মাওলানা মোঃ সাইফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান ২০১৯ সালের আগে সরকারি নিয়মনীতির সকল কার্য্যক্রম সফলভাবে পরিচালনা করে একাধিকবার এমপিও ভূক্তর জন্য আবেদন করেও বঞ্চিত হয়ে আছি।এতগুলো পরিবার সদস্যের ভবিষৎ জীবন নিয়েও অনিশ্চিত হয়ে পরেছি।আমরা সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
উল্লেখ্য ২০২০ সালে অনুষ্ঠিত দাখিল পরিক্ষায় ২০ শিক্ষার্থী পাস করেছে এবং ২০২১ সালে অনুষ্ঠিত দাখিল পরিক্ষায় ২১ জন শিক্ষার্থী এই প্রতিষ্ঠান থেকে অংশগ্রহন করবে বলে প্রতিষ্ঠান প্রধান জানান।
উল্লাপাড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ.কে.এম শামচুল হক জানান সর্বশেষ ২০১৯ সালে উপজেলার ৬ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিও ভুক্ত হয়েছে। উল্লেখিত প্রতিষ্ঠানটিও হয়তো এমপিও ভুক্তির জন্য আবেদন করতে পারে।কিন্তু সরকারি নীতিমালার মধ্যে তাদের প্রতিষ্ঠান পরে নাই বিধয় এমপিও ভুক্ত হয়নি।