ত্রিভূজ পরকিয়ার বলি শাহ আলম: সাড়ে ৪ বছর পর রহস্য উদঘাটন: স্বামী পরিত্যক্তা এক নারীর তিনজন প্রেমিক। প্রেমিকার কাছে বাকি দুজনকে আসতে নিষেধ করায় পরিকল্পিতভাবে বালিশচাপা দিয়ে খুন করা হয় শাহ আলম নামে এক প্রেমিককে।
সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার চর বেলকুচি গ্রামের বেকারি দোকানের কর্মচারি শাহ আলম (৩৫) হত্যার রহস্য দীর্ঘ ৪ বছর ৭ মাস পর উদঘাটন করেছে সিআইডি পুলিশ।
বুধবার (৪ জুলাই) সিরাজগঞ্জ সিআইডি কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। বুধবার বিকেলে এ হত্যাকান্ডের মূল আসামী জুলহাস ওরফে জুলু (৫৭) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
সিরাজগঞ্জ সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ২০১৭ সালের ২৭ জানুয়ারি বেলকুচি উপজেলার যমুনার চরাঞ্চলে ছোনের ভেতর থেকে দোকান কর্মচারি শাহ আলমের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। শাহ আলম উপজেলার বওড়া গ্রামের মৃত জামাল মোল্লার ছেলে। ওইদিন নিহতের স্ত্রী মোছাঃ শিরিনা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে। পরবর্তীতে ক্লু-লেস এ মামলাটি সিআইডিকে হস্তান্তর করা হয়।
এরপর সিআইডি পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে তদন্ত কার্যক্রম চালায়। মঙ্গলবার (৩ আগষ্ট) এ মামলার অন্যতম আসামী জুলহাস ওরফে জুলুকে কামারখন্দ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে মামলার সব রহস্য উন্মোচিত হয়। বুধবার জুলহাস ওরফে জুলু আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দী দেন।
আদালতে জুলহাস ওরফে জুলুর জবানবন্দীতে জানা যায়, বওড়া গ্রামের স্বামী পরিত্যাক্তা এক নারীর শাহ আলম ও জুলহাসসহ তিনজনের প্রেমের সম্পর্ক হয়।
বিষয়টি শাহ আলম জানতে পেরে প্রেমিকাকে গালিগালাজ করেন এবং বাকি প্রেমিকদের আসতে বারণ করেন। এতে জুলহাস ও তাদের প্রেমিকাসহ তিনজনই ক্ষুব্ধ হয়ে শাহ আলমকে হত্যার পরিকল্পনা করে। এরই এক পর্যায়ে ২০১৭ সালের ২৫ জানুয়ারী রাতে শাহ আলম কাকলির সাথে দেখা করতে এসে তার বিছানায় ঘুমিয়ে পরে। এ সুযোগে কাকলি ও তার দুই পরকিয়া প্রেমিক বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাস রোধে হত্যার পর লাশ গুমের উদ্দেশ্যে দূর্গম যমুনা নদীর চরের ছোনের ভিতরে