গরিব, অসহায়, নিপীড়িত, ও কর্মহীন মানুষের জন্য আন্তরিকতা ও ভালোবাসা নিয়ে কাজ করেন দৌলতখান উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ তারেক হাওলাদার। বর্তমানে তিনি দৌলতখানে অল্প সময়ে সবার ভরসার কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত হয়েছেন।
মানসিক ও শারীরিক প্রতিবন্ধী, ভিক্ষুক, শিক্ষার্থীসহ অসহায় মানুষের বিপদের বন্ধু তিনি। দক্ষতা ও সুনামের সাথে প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সুযোগ পেলেই অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোকেই তিনি প্রাধান্য দেন।
খবরের কাগজ বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনো অসহায় মানুষের খবর আসলে সহায়তা নিয়ে ছুটে যাচ্ছেন তাদের বাড়ি। সম্প্রতি দৌলতখানে অসহায় দরিদ্র পরিবারের সন্তান শিশু মারুফের পা ভেঙে অর্থের অভাবে চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করতে গিয়ে দরিদ্র পরিবারটি মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইউএনওথর নজরে আসলে তিনি ওই পরিবারটির বাড়িতে গিয়ে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেন। সেখানে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মহুয়া আফরোজ উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়াও তিনি পৌর মেয়র জাকির হোসেন তালুকদার কে অসহায় মারুফের পাশে দাঁড়ানোর জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। পৌর মেয়র জাকির হোসেন তালুকদার অসহায় শিশুর চিকিৎসার জন্য এগিয়ে আসেন। তিনি মারুফের চিকিৎসার সকল খরচ বহন করবেন বলে আশ্বাস দেন।
করোনাকালীন সময়ে প্রশাসনিক উদ্যোগের পাশাপাশি ব্যক্তিগত উদ্যোগ এবং নিজের অর্থে অনেকের পাশে থেকে হয়েছেন তাদের পরিবারের একজন।
ইউএনও মোহাম্মদ তারেক হাওলাদার দেশের করোনা পরিস্থিতির শুরু থেকেই নিজের জীবনের পরোয়া না করে সাধারণ মানুষের কল্যাণে সর্বোত্রে মাঠে থেকে কাজ করছেন। করোনার শুরু থেকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় লকডাউন, জনসচেতনতা বৃদ্ধি, প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের ত্রাণ হতদরিদ্রদের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়াসহ মাস্ক না পরায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা, নির্দিষ্ট সময়ের পর দোকানপাট বন্ধ রাখতে ছুটছেন দিনরাত।
বর্তমান কঠোর লকডাউনে বাজার নিয়ন্ত্রণ ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রীর দাম স্থিতিশীল রাখার জন্য কাজ করছেন। ঘরবন্দি মানুষকে বাঁচাতে ত্রাণ নিয়ে হাজির হচ্ছেন বাড়ি বাড়ি। এছাড়াও ৩৩৩-তে ফোন দিলেই মধ্যবিত্ত মানুষের ঘরে পৌঁছে যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ।
দৌলতখান উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও ) মোহাম্মদ তারেক হাওলাদার বলেন, আমি ইউএনও হিসেবে নয় অসহায় প্রতিটি পরিবারের একজন সদস্য হয়ে বাঁচতে চাই। ছাত্রজীবন থেকে মানুষের কষ্ট দেখলে আমি নিজেকে সামলাতে পারিনি। চাকরি সূত্রে আমি দেশের বিভিন্ন এলাকায় যতটুকু পেরেছি নিজ থেকেই অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। আমি ‘মানুষথ, এটাই আমার সবচেয়ে বড় বিশেষণ। কতটুকু সফল হতে পেরেছি জানি না। প্রতিদিন যদি আমি একটি মানুষেরও সামান্য উপকারে আসতে পারি এটাই আমার স্বার্থকতা।