র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। জঙ্গী, সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, ছিনতাইকারী, জুয়ারি, মাদক ব্যবসায়ী, খুন, এবং অপহরণসহ বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর মামলার আসামী গ্রেফতারে র্যাব নিয়মিত অভিযান চালিয়ে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় ২৫ জুলাই রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার সময় র্যাব-১২ স্পেশাল কোম্পানীর একটি চৌকষ আভিযানিক দল টাঙ্গাইলের ঘাটাইল থানার জামালপুর (দক্ষিনপাড়া) গ্রামে মনিরুল ইসলামের বসত বাড়ীর পশ্চিম দুয়ারী টিনসেড ঘরের ভিতর এক মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ৯৯০(নয়শত নব্বই) পিচ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ২ জন শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাহাদের নিকট থেকে মাদক ক্রয়-বিক্রয় এর কাজে ব্যবহৃত ২টি মোবাইল ফোন ও নগদ ৮০০০/-(আট হাজার) টাকা জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন ঘাটাইল থানার জামালপুর গ্রামের মৃত আব্দুল গফুরের ছেলে মনিরুল ইসলাম(৩৪) ও একই থানার চৈথট্র গ্রামের সালাম সরকারের ছেলে জাহিদুল ইসলাম(২৬)।
গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনের ৩৬(১) সারনীর ১০(ক) ধারার মামলা দায়ের করত উদ্ধারকৃত আলামতসহ তাদেরকে ঘাটাইল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
২৬ জুলাই সোমবার সকাল সোয়া ৬ টার সময় র্যাব-১২ সদর কোম্পানীর একটি চৌকষ আভিযানিক দল সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার হাটিকুমরুল ইউনিয়নের ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের দক্ষিন পাশের্ব ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের সামনে এক মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ৫৭ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট ও ৬ গ্রাম গাঁজাসহ ২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাহাদের নিকট থেকে মাদক ক্রয়-বিক্রয় এর কাজে ব্যবহৃত ২টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার দক্ষিণ খাজিরাথাক গ্রামের রিয়াজুল ফকিরের ছেলে জুয়েল রানা(২৪) ও গাজীপুরের জয়দেবপুর থানার হুড়াপাড়া বেগমপুর গ্রামের গোলাম হোসেনের ছেলে রাশেদুল ইসলাম(২৫)।
গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনের ৩৬ এর (১) সারণীর ১০(ক) ও ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনের ৩৬ এর (১) সারণীর ১৯(ক) ধারায় মামলা দায়ের করত উদ্ধারকৃত আলামতসহ তাদেরকে সলঙ্গা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে,এই মাদক ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন যাবত আইন প্রয়োগকারী সংস্থার চোখ ফাঁকি দিয়ে সিরাজগঞ্জ এবং টাঙ্গাইল জেলার বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ নেশাজাতীয় মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় করে আসছিল।