সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ব্রীজের কাজ শেষ না হতেই গাইড ওয়ালে ফাটল দেখা দিয়েছে। সরেজমিনে দেখা গেছে উপজেলার কুন্দইল (ওয়াবদা ক্যানেল) কাটা গাং এর উপর নির্মিত আরসিসি গার্ডার ব্রীজ ও গাইড ওয়াল নির্মান কাজ শেষ হতে না হতেই গাইড ওয়াল ফেটে গেছে। বন্যার পানি আসার সাথে সাথেই এই গাইড ওয়াল যদি ফেটে যায় তাহলে বর্ষাকালে এর পরিস্থিতি কি হবে বলে আশঙ্কায় রয়েছেন এলাকার সচেতন মহল।
তাড়াশ উপজেলা প্রকৌশল অফিস সুত্রে জানা গেছে, জিপিবিআরআইডিপি প্রকল্পের আওতায় তাড়াশ উপজেলার কুন্দইল বারুহাস হাট ভায়া প্রতিরামপুর রাস্তার কাটা গাং এর উপর ৬৯.০০মিটার দীর্ঘ আরসিসি গার্ডার ব্রীজ ও গাইড ওয়াল নির্মানের জন্য ৪ কোটি ৯৬ লাখ ৬৩ হাজার ৭শ ৬৬ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। পরবর্তীতে তা বাড়িয়ে বরাদ্দ করা হয়েছে ৫ কোটি ৭ লাখ টাকা । এলজিইডি সিরাজগঞ্জ বাস্তবায়নে তাড়াশ রায়গঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডাঃ আব্দুল আজিজ ২১.০২.২০১৯ তারিখে আনুষ্ঠানিক ভাবে ব্রীজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন।
কাজটি করছেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান রফিকুল ইসলাম খান। ২বছর ৫মাস যাবৎ খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলা ব্রীজ ও গাইড ওয়াল নির্মানের কাজ শেষ প্রান্তে প্রায়। এ দিকে চলনবিল এলাকায় বন্যার পানি আগমনের সাথে সাথে সদ্য নির্মিত গাইড ওয়ালে বড় ধরনের ফাটল দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় জনগন বলছেন, ভারী বর্ষণ ও কাটা গাং এ শ্রোত হলে ওই গাইড ওয়াল বিলের পানিতে বিলিন হয়ে যাবে।গাইড ওয়াল ধসে পরলে ব্রীজের মারাত্বক ক্ষতি হবার সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে ওই কাজের দায়িত্ব প্রাপ্ত ম্যানেজার জানান, এ অঞ্চলের মাটি শুকালে খুব শক্ত আর পানি পেলে নরম হয়। বন্যার পানি প্রবেশ করার কারনে গাইড ওয়াল ফেটে গেছে।পানি শুকালে ঠিক করে দেয়া হবে।
এ বিষয়ে ব্রীজের ঠিকাদার মোঃ আব্দুল হাকিম কে বার বার ফোন করা হলে ও তিনি ফোন ধরেন নি।
এ ব্যাপারে তাড়াশ উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ আবু সায়েদ বলেন, কাজ করতে গিয়ে সমস্যা হতেই পারে। তবে যে কোন সমস্যা হলে অবশ্যই তা পুনরায় ঠিক করে নেয়া হবে।