ফুলজোড় ও করতোয়া নদী সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার ভিতর দিয়ে প্রবাহিত। কিছু দিন আগে শুষ্ক মৌসুমে পানির অভাবে নদীটি মরা নদীতে পরিনতি ছিলো। শুখিয়ে চৌচির হয়ে গিয়েছিলো। এ সময়ে প্রচুর পরিমানে নদীর তলদেশে ধান,তীল ও কাউনের চাষ করতো নদী পরের মানুষ। অনাবাদি নদীর চরের উপর ছেলে মেয়েরা খেলাধূলা করতো। বালির চরের উপর দিয়ে মানুষ পায়ে হেটে এপার থেকে ওপারে পারাপার হতো।
এখন বর্ষা মৌসুম, মরানদী ফিরে পেয়েছে ভরা যৌবন।থই থই পানিতে পরিপূর্ণ হয়েছে গেছে। স্রোতে ভেসে যাচ্ছে শুষ্ক মৌসুমে নদীর বুকে জন্মানো কচুরিপানা। চলাচল করছে বিভিন্ন ধরনের ছোটবড় নৌকা। ইচ্ছামত মাছ শিকারে ব্যস্ত হয়ে পরেছে নদী পারের জেলে সম্প্রদায়ের মানুষ। বর্ষা মৌসুমে নদীপারাঞ্চলের জেলে সম্প্রদায়ের মানুষ বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করে মাছ শিকার করে জীবনজীবিকা নির্বাহ করছেন।কেউবা বাদাই ও কারেন্ট জাল, কেউবা শিপবর্শি,টানাবর্শি, খড়া কটাখড়া জাল কেউবা পানির নিচে ডুব দিয়ে পাথরের নিচ থেকে মাছ শিকার করে জীবনজীবিকা নির্বাহ করছেন।
ঘাটিনা গ্রামের মাছ শিকারী মছলেম উদ্দিন প্রতিবেককে জানান শুষ্ক মৌসুমে নদী শুকিয়ে যাওয়ায় মাছ শিকার করতে না পেরে কষ্ট দিনযাপন করতে হয়েছে আমাদের।এখন বর্ষা মৌসুম নদীতে নতুন পানি এসেছে। এই নতুন পানির সাথে উজান থেকে ভেসে এসেছে বিভিন্ন জাতে ছোটবড় মাছ। অনেক মানুষ বর্ষা মৌসুমের মাছ শিকার করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। বাজারে করতোয়া ও ফুলজোর নদী থেকে শিকার করা নতুন পানির মাছের চাহিদাও বেশি।পাইকারি ও খুচরায় মাছ কেনার জন্য অনেক দূর থেকে এসে সকালে ঘাটিনা ব্রীজ সংলগ্ন শাজাহানপুর বাজারে মাছের ব্যপারি ও সাধারন মানুষ ভীর জমা করে। কিন্তু করোনা কালিন সময়ে গ্রাহক কম থাকায় শস্তায় মাছ বিক্রি করতে হয়। প্রতিদিন মাছ শিকার করে ৫’শ থেকে ৬’শ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারি।যা দিয়ে ছেলে মেয়ে নিয়ে খেয়ে পরে দিন চলে যায়।
এবিষয়ে উল্লাপাড়া উপজেলা মৎস কর্মকর্তা বায়েজীদ আলম জানান,বর্ষা মৌসুমে অনেক জেলেই নদীতে মাছ শিকার করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। তবে তাদের বৈধ যন্ত্রাংশ দিয়ে মাছ শিকার করতে হবে। নদীতে বাদাই জাল,চায়না জালসহ বানা দিয়ে ঘিরে মাছ শিকার করা যাবে না। করতোয়া নদীর ঘাটিনা রেলসেতু পাশে অভায়শ্রম রয়েছে। অভায়শ্রমের ভিতরে গিয়ে মাছ ধরা যাবে না।