সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার পোরজনা ইউনিয়নের জামিরতা পূর্বপাড়া গ্রামের ২’শ মিটার কাঁচা সড়কে প্রায় তিন হাজার মানুষের চলাচলে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে বর্ষাকালে ৪ থেকে ৫ মাস পানির নীচে ডুবে থাকে গ্রামবাসীর একমাত্র চলার পথটি। গ্রামবাসীর চলাচলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক দিয়ে মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ প্রায় ৩ হাজার মানুষ প্রতিনিয়ত যাতায়াত করে থাকে।
উপজেলার পোরজনা ইউনিয়নের জামিরতা পূর্বপাড়ায় রয়েছে ‘জামিরতা পূর্বপাড়া হযরত বেলাল (রাঃ) হাফিজিয়া মাদ্রাসা’ ও মুসল্লীদের নামাজ আদায়ের জন্য রয়েছে একটি মসজিদ। এই হাফিজিয়া মাদ্রাসায় ৫৫ জন শিক্ষার্থী রয়েছে যার মধ্যে ৩০ জন শিক্ষার্থী দুঃস্থ এতিম ও অসহায়। এছাড়াও এই সড়ক দিয়ে স্কুল কলেজে পাঁচ শতাধিক ছাত্রছাত্রী নিয়মিত যাতায়াত করে।
এলাকাবাসী জানান, আমাদের মসজিদের যাতায়াতের এই একটি সড়কে বন্যার পানি আসলেই আমরা মসজিদে যেতে পারি না মাদ্রাসাটিও বন্ধ হয়ে যান রাস্তা ডুবে থাকার কারনে, ছেলে-মেয়েরা স্কুল,কলেজে যেতে পারে না। অপরিমেয় দূর্ভোগে পড়তে হয় এই সামান্য রাস্তা উচু না হওয়ার কারনে।
এ ব্যাপারে মাদ্রাসা ও মসজিদ কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব গোলাম মোস্তাফা বলেন, আমাদের পুরো গ্রামবাসির এই একটি মাত্র মসজিদ এবং মাদ্রাসা করা হয়েছে। কিন্তু একটু বৃষ্টি ও বন্যা হলেই প্রায় ৪-৫ মাস মুসুল্লিরা নামাজে আসতে পারেনা এবং বেশি বন্যা হলেই মাদ্রাসা বন্ধ করে দেওয়া হয়। তাই যদি স্থানীয় সরকার বা ব্যাক্তিগত ভাবে হোক সড়কটি উঁচু করে দিলে অন্তত মুসলমানদের ধর্মীয় কাজ ইবাদত করতে পারবে এবং ছাত্র ছাত্রীরা স্কুল কলেজে যেতে পারবে।
এ ব্যাপরে পোরজনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আনোয়ার হোসেন বাবু জানান, প্রকল্পের মাধ্যমে খুব দ্রুতই রাস্তাটি উঁচু করে পাকাকরণের পরিকল্পনা রয়েছে। করোনা মহামারি শেষ হলেই সংস্কার করে জনগণের দূর্ভোগ লাঘব করা হবে।