শিরোনাম
লক্ষ্মীপুরে মসজিদ মার্কেটের দোকানি ও কর্মচারী কলেজ ছাত্রীর সাথে শোভনীয় আচারণ। শ্রীমঙ্গলের সিন্দুরখাঁন জামায়াতে ইসলামীর আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত। বকেয়া বেতনের দাবিতে চন্দ্রা নবীনগর মহাসড়ক অবরোধ। সিরাজগঞ্জে অসামাজিক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে পতিতাসহ যুবক আটক। লক্ষ্মীপুরে ইউএনও’র নেতৃত্বে মোবাইল কোর্ট ট্র্যাক্টর চালকের অর্থদণ্ড। মাধবপুরে জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবসে র‍্যালি, আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত। লক্ষ্মীপুরে চাঁদা দাবি করে স্থাপনা নির্মাণে বাধা। মাধবপুরে গাঁজা সহ দুই  মাদক কারবারি গ্রেপ্তার। ঠাকুরগাঁওয়ে চাঁদা না পেয়ে এলজিইডি প্রকৌশলীর উপর হামলার ঘটনায় থানায় মামলা। মাধবপুরে এসএম স্পিনিং মিলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ১০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি।
মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫, ১১:০৪ পূর্বাহ্ন

সিরাজগঞ্জ তাড়াশে বর্ষার আনাগোনা মাছ শিকারে ধুন্দির চাহিদা ব্যাপক।

মোঃ শাহিনুর রহমান,তাড়াশ(সিরাজগঞ্জ)প্রতিনিধি / ৫০৮ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : রবিবার, ৪ জুলাই, ২০২১

সিরাজগঞ্জের চলনবিল তাড়াশে ছোট মাছ ধরার জন্য এটাই শ্রেষ্ঠ কৌশল বলে মনে করেছেন কৃষক পেশার জনগন। এই কৌশল উপকরণ টির নাম বিভিন্ন এলাকায় চাই নামে পরিচিত থাকলেও এই অঞ্চলে এর নাম ধুন্দি বা ধিয়াল নামে পরিচিত।

চলনবিল অধ্যুষিত তাড়াশ উপজেলায় বন্যার পানি আগমনের সাথে সাথে গ্রামের খাল বিল হাওড়-বাওড় কিংবা নদীতে মাছ ধরার  মহা উৎসব শুরু হয়েছে। মাছ ধরতে বিভিন্ন উপকরন ব্যবহার হলে ও চলনবিল অঞ্চলে ছোটমাছ ধরার জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে পুরনো পদ্ধতির  বাঁশের তৈরী (চাঁই ) যা তাড়াশ অঞ্চলে এর নাম  ধুন্দি বা ধিয়াল।

এই ধুন্দি কেউ বা তৈরী করে  আবার কেউ বা কিনে সেটা দিয়ে মাছ ধরে বিলাঞ্চলের  বিভিন্ন কৃষক পেশার মানুষ সহ বিভিন্ন আয়ের  মানুষ জীবন যাপন করছেন।

সরেজমিনে  উপজেলার  নওগা হাটে গিয়ে দেখা যায়  বিভিন্ন এলাকা থেকে বিক্রেতারা শত শত ধুন্দি নিয়ে সারি বদ্ধ হয়ে বিক্রি  করছে। এক একটি ধুন্দি বিক্রি করা হচ্ছে ৩শ থেকে ৪শ টাকায়। তবে বিক্রেতা ও ক্রেতারা খাজনা নিয়ে পরছেন বিপাকে। তবুও নিজেদের চাহিদা মিটাতেই ভির জমছে হাট গুলোতে।

বর্ষা শুরু হলেই বিশেষ পদ্ধতিতে বাঁশ দিয়ে তৈরী ওই সমস্ত ধুন্দি খাল, বিল ,নদী- নালায় ১০-১৫ হাত ফাঁকে ফাঁকে বানা দিয়ে বসিয়ে মাছ ধরা হয়। এতে চিংড়ি, মোয়া, পুঁটি, বেলে, টেংরাসহ বিভিন্ন ধরনের ছোট মাছ ধরা পরে। এতে সাধারণ জনগনের মাছ কেনা লাগে না । মাছে ভাতে বাঙ্গালীর ঐতিহ্য কথাটি ধরে রাখতেই সবাই এই সময় মাছ মারেন আবার কেউ কেউ টাকা আয়ও করেন।

ধুন্দি তৈরীর কারিগর ভাদাশ গ্রামের আজম আলী  জানান, বঁাশ দিয়ে ধুিন্দ বাধতে হয় অনেক কষ্ট হলেও এটা টেকসই। বর্তমানে বাঁশের কাঠির পরিবর্তে শুধু বাঁশের চটা দিয়ে তৈরী ফ্রেমে জাল দিয়েও ধুন্দি বানানো হচ্ছে। তবে জালের তৈরী ফাঁদ অনেক সময় ছিঁড়ে যাওয়া বা কাঁকড়া কেটে ফেলার সম্ভবনা থাকে। তাই বিলাঞ্চলের মানুষ বাশের তৈরী ধুন্দি বেশী পছন্দ করে। বাঁশের ধুন্দির চাহিদা পুর্বে  যেমন ছিল বর্তমানে আর ও বেরেছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ