সিরাজগঞ্জের তাড়াশে গ্রাম্য সালিশে প্রধানদের হুকুমে এক বৃদ্ধ মারপিট খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার তালম ইউনিয়নের নামো সিলেট গ্রামে।
জানা গেছে ওই গ্রামের মৃত মন্তাজ আলীর ছেলে আসাদ আলী (৫০) গ্রামের প্রধান ৬নং ওয়ার্ড আ’লীগের সাধারন সম্পাদক রাজু আহম্মেদ’র নিকট একই গ্রামের ইসরাফিল হোসেনের মেয়ে ইসরাত খাতুন মোহনার বিরুদ্ধে সালিশের আরজি জানালে গ্রাম্য প্রধানগন ২ জুলাই শুক্রবার বিকালে ওই গ্রামেই গোলাম রাব্বানীর বাড়িতে সালিশে বসে।
সালিশে উভয় পক্ষের জিজ্ঞাসাবাদ শোনা হলে সালিশী রায়ের পূর্ব মুহুর্তে ইসরাত খাতুন মোহনার ছোট ভাই দুলাল হোসেন প্রধানদের নিকট তার বোনের ব্যাপারে কথা বলতে চাইলে প্রধান রাজু আহম্মেদ হুকুম দিয়ে দুলাল হোসেনকে মারতে বলে। এমন সময় দুলাল দৌড় দিয়ে পালায়। তখন আসাদ আলী (৫০) পিতা মৃত মন্তাজ আলী,সাত্তার আলী পিতা: মৃত খাজী পাগলা,নুরুল ইসলাম (২৫) পিতা সাত্তার আলী,শাহিন রহমান (৩৫) পিতা আকবর আলী, মোন্নাফ হোসেন(২৫) পিতা: আসাদ আলী, হাশেম ও হোসেন সহ একটি দল তার পিতা বৃদ্ধ ইসরাফিল হোসেন (৭০)কে মারপিট করে আহত করে।
বাবার চিৎকারে মেয়ে ইসরাত খাতুন মোহনা কাছে আসিলে প্রধানগন তাকেও হ্যাস্ত ন্যাস্ত করে। মেয়ে বাবার অবস্থা খারাপ হতে দেখে তাকে নিয়ে তাড়াশ সদর হাসপাতালে এনে ভর্তি করেন। বর্তমানে সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এ বিষয়ে তাড়াশ থানায় একটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। প্রধানগনের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মোর্তজা হোসেন,আমিনুল ইসলাম, আব্দুল মতিন, রফিজ উদ্দিন, সাইদুল মোহরীসহ অনেকে।
তালম ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান হিরণ বলেন, সালিশে আমি উপস্থিত ছিলাম। শান্তিপূর্ন ভাবেই সালিশ চলতে ছিলো। হঠাৎ করে তর্ক বিতর্ক করতে গিয়ে হাতাহাতি হয়। আমি এ হট্টগোল থামানোর চেষ্টা করেছি। দু একজন বৃদ্ধ মানুষটিকে মারার কারনে সে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছে। উভয় পক্ষকেই মিমাংসা করার চেষ্টা করছি।
এ ব্যাপারে অফিসার ইনচার্জ ফজলে আশিক বলেন,অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।