মাত্র পনে তিন শতক জমির উপর মাথা গজার ঠাঁই হিসাবে ঘর তুলেছিলেন রিনা বিবি। পাঁচ বছর যাবৎ বসবাস করলেও স্থানীয়দের বিচার শালিশের নামে জায়গা দখল বা জমির পরিবর্তন করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে সবসময়।
সর্বশেষ গত রবিবার (২৭জুন)স্থানীয় বাসিন্দা লোকমান হোসেন(৫০)ও তার দুই ছেলে আসাদুল ইসলাম (৩০) ও আরিফ হোসেন (২১)কে সাথে নিয়ে রিনা বেগমের বাড়ীর চারপাশ দিয়ে বেড়া দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়। প্রতিবাদ করলে প্রান নাশেরও হুমকি দেওয়া হয়। কাঁদতে কাঁদতে এমনটি বলছিলেন রীনা বিবি (৪৫)।
এমন ঘটনা ঘটেছে নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার ব্রহ্মপুর ইউনিয়নের সরকুতিয়া গ্রামের তালতলা বাজারে। ভুক্তভুগি রিনা বিবি ও দেলবর হোসেন মন্ডল জানান,২০১৬ সালে দলীল নং ৪১৯৬/১৬ অনুযায়ী স্থানীয় বাসিন্দা আকরাম হোসেন,এবাদুল ইসলাম ও আব্দুল মান্নান এর নিকট হতে. ০১০০ একর . ০১০০ একর ও . ০০৬৭ একর জমি ক্রয় করেন।
ভুক্তভোগীরা বিক্রয় কবলা দলীল অনুযায়ী দাবি করে বলেন, ৮১৪৮ নং দাগে বাগান ১০৭ শতাংশের কাত ৮ শতাংশ তাহার কাত পূর্ব দিকে দুই শতাংশ বাদে দহ্মিনে কায়েমের অংশ সংলগ্ন . ০২৬৭ একর জমি ক্রয় করেন। এবং ২০-২১ পর্যন্ত খাজনা খারিজ করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, লোকমান হোসেন তার ছেলেদের নিয়ে ঐ জমির কিছু অংশের মালিক দাবি করে তাদের সাথে বিবাদে জড়ায় এবং জমি দখলের নামে তাদের বারবার উচ্ছেদের চেষ্টা করে। এ বিষয়ে গ্রাম্য শালিশের মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করা হলেও তা বেশিদিন টিকেনি।
এ বিষয়ে লোকমান হোসেন ও আরিফ হোসেনের সাথে কথা বলতে গেলে তারা বলেন,”আমার জায়গা আমি বেড়া দিছি”। এ বিষয়ে ৩নং ওয়ার্ড সদস্য ইয়াকুব আলী সরদার জানান,এই জমি নিয়ে পূর্বেও সমাধানের চেষ্টা করা হলেও তা স্থায়ী হয়নি। কিন্তু সর্বশেষ লোকমান হোসেনের বেড়া দিয়ে রিনা বেগম ওদেলবর মন্ডলকে অবরুদ্ধ করার বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।
একই কথা জানালেন ৪ নং ওযার্ড সদস্য রফিকুল ইসলাম-তিনি জানান স্থানীয় ভাবে এ বিষয়ে একাধিকবার মীমাংসা করা হয়েছে কিন্তু তা বেশিদিন টিকেনি।
নলডাঙ্গা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম মৃধা জানান, এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হব।