সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ভাবির পরকীয়ায় দেবরের পুরুষাঙ্গ কর্তনের ঘটনা ঘটেছে। রতনদিয়ার এলাকায় দেবর আকরাম হোসেন (২২)এর পরুষাঙ্গ কর্তনের ঘটনা ঘটিয়েছে বড় ভাবির মমতা বেগম(২৭)। মমতা খাতুন প্রেমিক আকরামের বড় ভাই নবিরের স্ত্রী।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কয়ড়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের রতনদিয়ার দিয়ারপাড়া গ্রামে আব্দুল কাদের বাড়িতে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায় ৭/৮ বছর পূর্বে আব্দুল কাদের তার ছেলে নবির হোসেনকে এরোংদহ গ্রামের মমতা খাতুনের সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ে করান।ইতিমধ্যে তাদের কোলে তিনটি সন্তানের জন্ম হয়।
পরিবারের অজান্তে আপন ছোট দেবর আকরামের সাথে বড় ভাবি মমতা খাতুনের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সে থেকে তাদের মধ্যে অনাবিল পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিলো। হঠাৎ তাদের পারিবারের মধ্যে কলহের সৃষ্টি হয়। শ্বশুর বাড়ির লোকজনকে ফাঁসাতে রোববার(২৭ জুন) রাত সাড়ে ১১ টার সময় পরকীয়া প্রেমিক আকরামকে শারিরীক সম্পর্কের আলিঙ্গন করে বড় ভাবি মমতা খাতুন। রাতের অন্ধকারে শারীরিক সম্পর্ক করার সময় কৌশলে ভাবি তার পরকীয়া প্রেমিক আকরামের পুরুষাঙ্গ কর্তন করে দেয়া। এ সময় তার চিৎকারে বাড়ির লোকজন উঠে পরে এবং অবস্থা অবনতি দেখে রাতেই উল্লাপাড়া ৩০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে আসে।হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অবস্থার আরোও অবনতি দেখে বগুড়া জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
এঘটনা নিশ্চিত করে কয়ড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন জানান মমতা খাতুন শ্বশুর বাড়ির লোকজনকে ফাঁসাতে দেবর আকরামের সাথে নেক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে। মমতা ঘটনার ২ দিন আগে স্বামী নবিরের গোয়ালের তিনটি গরু পরিকল্পিত ভাবে বাপের বাড়িতে রেখে আসে। তিন মাস আগেও প্রতিবেশি নাঈমের সাথে পরকীয়ার পর একই কৌশলে পরুষাঙ্গ কর্তনের ঘটনা ঘটিয়েছিলো মমতা। ঘটনার পরের দিন সোমবার সকালে মমতা উল্লাপাড়া মডেল থানায় একটি সাধারন ডায়রি করেছে। এ ঘটনায় শ্বশুর আব্দুল কাদেরও পুত্রবধূ মমতার বিরুদ্ধে উল্লাপাড়া মডেল থানায় অভিযোগ করেছে । আকরাম হোসেন বগুড়া জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।