শিরোনাম
দুর্গাপুরে জামায়াতে ইসলামীর আয়োজনে জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে কেন্দ্র পরিচালক ও পোলিং এজেন্ট প্রশিক্ষণ। ডিমলায় বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা। গাঁজায় চলম ধ্বংসষজ্ঞ ও প্রানহানীর প্রতিবাদে ডিমলায় বিক্ষোভ। গাঁজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে মাধবপুরে বিক্ষোভ মিছিল। ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলার প্রতিবাদে কালিয়াকৈরে বিক্ষোভ মিছিল। ইহুদীদের সাথে হযরত মুহাম্মদ (স.) জামাকে তুলনা করায় মৌলভীবাজারে প্রতিবাদ। কালিয়াকৈর চাপাইর তুরাগ নদীতে বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার। উল্লাপাড়ায় শ্রমিক লীগ নেতার বিরুদ্ধে গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা অভিযোগ। উল্লাপাড়ায় গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ। মাধবপুরে গাঁজাসহ শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলী গ্রেপ্তার।
রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৪১ অপরাহ্ন

পটুয়াখালীর হাজীপুরে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের পাশেই স-মিল: নিরব ভূমিকায় বন কর্তৃপক্ষ।

সৈয়দ মোঃ রাসেল,কলাপাড়া (পটুয়াখালী)প্রতিনিধি / ৫২৫ বার পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : সোমবার, ২৮ জুন, ২০২১

পটুয়াখালীর কলাপাড়ার হাজীপুরে সংরক্ষিত বনের কোল ঘেষে স-মিল স্থাপন করা হয়েছে। স-মিলের নেই সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের কোনো অনুমোদন। ফলে জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে। স-মিলে কাঠ জোগান দিতে গিয়ে উজাড় হচ্ছে বন বিভাগের গাছ। সরকারও বঞ্চিত হচ্ছে মোটা অংকের রাজস্ব থেকে। বন ও পরিবেশ বিভাগের তদারকি ও যথাযথ পদক্ষেপের অভাবে অবৈধভাবেই হাজিপুর সংরক্ষিত ফাতরা বনের পাশেই নিমার্ণ করা হয়েছে এ স-মিলটি।

কলাপাড়া উপজেলার হাজিপুর ইউনিয়নের সোনাতলা নদীর তীরে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের পাশেই স-মিলটির অবস্থান। সূত্র মতে, স-মিল স্থাপনের জন্য বন বিভাগের লাইসেন্স প্রাপ্তির পর নিতে হয় পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র। স-মিল লাইসেন্স বিধিমালা ২০১২-র আইনে সুস্পষ্টভাবে বলা রয়েছে, করাত কল স্থাপন বা পরিচালনার জন্য লাইসেন্স ফি বাবদ ২০০০ টাকা ‘১/৪৫৩১/০০০০/২৬৮১ (বিবিধ রাজস্ব ও প্রাপ্তি)থ খাতে বাংলাদেশ ব্যাংক বা যেকোন সরকারি ট্রেজারিতে জমাপূর্বক উহার ট্রেজারি চালান আবেদনপত্রের সহিত সংযুক্ত না করলে আবেদনপত্র গ্রহণযোগ্য হবে না।

সরকারি অফিস-আদালত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, বিনোদন পার্ক, উদ্যান ও জনস্বাস্থ্য বা পরিবেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কোনো স্থানের ২০০ মিটারের মধ্যে স-মিল স্থাপন করা যাবে না। সকাল ৬টার আগে এবং সন্ধ্যা ৬টার পরে সমিল চালানো যাবে না। বিধিমালায় আরো বলা আছে, এ আইন কার্যকর হওয়ার আগে কোনো নিষিদ্ধ স্থানে স-মিল স্থাপন করা হয়ে থাকলে আইন কার্যকর হওয়ার তারিখ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে সেগুলো বন্ধ করে দিতে হবে। যদি তা না করা হয় তবে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তা বন্ধের জন্য আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন।

অথচ কলাপাড়ায় কোনো নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে যত্রতত্র গড়ে উঠেছে অবৈধ স-মিল। বন ও পরিবেশ বিভাগের তদারকি ও যথাযথ পদক্ষেপের অভাব এ সংকট সৃষ্টি করেছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। 

কলাপাড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা আবদুস ছালাম বলেন, স-মিল নিমার্ণে অনুমতির জন্য আমার কাছে কোন লিখিত আবেদন দেয়নি। চলমান লকডাউনের সুযোগ নিয়ে মিলটি স্থাপন করেছে। তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ কর হবে।

পটুয়াখালী জেলা সহকারী বন কর্মকর্তা তরিকূল ইসলাম জানান, বনবিভাগের নীতিমালা অনুসারে শীঘ্রই আইনগত ব্যাবস্থা নেয়া হবে।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর