লক্ষীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামে বকুলতলা বাজার সেট নির্মান করতে এডিবি তিন লক্ষ টাকা বরাদ্ধ নিয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা ব্যক্তি মালিকানা দীঘির বালু লুট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভুগি আলমগীর হোসেন স্থানীয় ভাবে কোন প্রতিকার না পেয়ে লক্ষীপুর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ( রামগঞ্জ) আদালতে মিছ মামলা দায়ের করেছে।
মামলার এজাহার সুত্রে জানায়,উপজেলার ৫২ নং চন্ডিপুর মৌজার আর.এস ৩০৯১ ও ১০০০নং খতিয়ান এবং ৯৫৬ দলিল মুলে ব্যক্তি মালিকানা দীঘির ১.৫৪ একর ভুমির মালিক আলমগীর হোসেন গং। স্থানীয় প্রভাবশালী মহল দীঘ্র কয়েক মাস যাবত দীঘির বালু লুট করার পায়তানা করে। মামলার বাদি আলমগীর হোসেন বলেন,অধিকাংশ মালিকদের ম্যানেজ করতে না পেয়ে প্রবাসী জাকির হোসেন ও তার ভাই মনির হোসেনকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে ড্রেজিং মেশিন দিয়ে কয়েক দিন যাবত রাত-দিন বালু উত্তোলন করে।
এতে বাধা দিলে প্রাননাশের হুমকি-ধমকি প্রদান করে প্রভাবশালী মহল। বাধ্য হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেছি। এব্যাপারে অভিযুক্ত প্রবাসী জাকির হোসেনের স্ত্রী জাহানারা বেগম বলেন,আমার স্বামী বিদেশ রয়েছে। স্থানীয় ফয়েজ ও ফারুক সহ কয়েকজন ব্যক্তি বকুলতলা বাজারে সেট নিমার্নের উদ্যোগ নেয়।
গ্রামে ভালো মানের কোন বাজার না থাকায় আমার স্বামীর নামে লিজ থাকায় সম্পত্তি ও দীঘির বালু উত্তোলন করতে দেয়। চন্ডিপুর ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তা হারুনুর রশিদ এসে বালু উত্তোলন বন্ধ রাখতে জানিয়ে গেছে।
স্থানীয় ফয়েজ আহমেদ বলেন,বাজার সেট নির্মান কিংবা বালু উত্তোলনের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। চন্ডিপুর ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তা হারুনুর রশিদ বলেন,দীঘির পাড়ে বসবাড়ি এবং সরকারী পাকা সড়ক রয়েছে। ড্রেজিং দিয়ে বালু উত্তোলনে সড়ক ক্ষতি হতে পারে।
তাছাড়া বালু উত্তোলন সংক্রান্ত আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে। চন্ডিপুর ইউপি চেয়ারম্যান কামাল হোসেন ভুইয়া বলেন,বকুলতলা বাজারে সেট নির্মানে উপজেলা পরিষদ থেকে এডিবি ২০২০-২১ অর্থ বছরে তিন লক্ষ টাকা বরাদ্ধ হয়েছে।
বাজার কমিটি সম্পত্তি দিলে সেট নির্মান হবে। দীঘির বালু উত্তোলন কে বা কারা করছে তা জানি না।