সিরাজগঞ্জ বেলকুচি দৌলতপুর ইউনিয়নে ক্ষিদ্রগোপরেখী গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গভীর রাতে বাড়ীতে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠেছে। ১৩ জুন (রবিবার) রাতে মাহবুব আলম খানের বসত বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।এতে ঘরসহ ঘরের আসবার পত্রসহ প্রায় দুই লক্ষ বিশ হাজার টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়।
জানা গেছে, জমির সীমানা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিবেশি মালেকের সাথে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে গভীর রাতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা তারা ঘটাতে পারে বলে অভিযোগ মাহবুব আলম খানের পরিবারের।
মামলা সূত্রে জানা যায়- উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের ক্ষিদ্র গোপরেখী গ্রামে আমার পিতা মাতা নিয়ে বসবাস করছি। আমার বাড়ির উত্তর পার্শে প্রতিপক্ষের বাড়ি অবস্থিত। প্রতিপক্ষররা দীর্ঘদিন যাবৎ আমাদের বিভিন্ন প্রকার ভয় ভীতি ও হুমকি দিয়ে আসছে। ইতিপূর্বে প্রায় ২০/২৫ বার আমাদের বসত বাড়ীতে বিভিন্ন ঘরে মানুষের মল ঢিলায় এবং বসবাসের অনুপযোগী করে তোলে। আমরা প্রতিবাদ করলে আমাদের কে বিভিন্ন ভাবে মারপিট ও হত্যার হুমকি দেয়।
আমি একা হওয়ার কারনে প্রতিপক্ষের সকল প্রকার অত্যাচার নিরবে সহ্য করে বসবাস করতে থাকি। কিন্তু গত ১৩ জুন রবিবার রাতে মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে আঃমালেক খন্দকার (৫৫), আঃ মালেক খন্দকারের ছেলে রাজিব খন্দকার (২৫), মরিয়ম বেগম (৫০) দিয়াশলাইয়ের কাঠি জ্বালাইয়া উক্ত বেড়ায় আগুন ধরিয়ে দেয়।
উক্ত আগুন লাগাইয়া দেয়ার ফলে দাউ দাউ করিয়া আগুন জলিয়া উঠে ঘরের ভিতরে রক্ষিত মালামাল সহ ঘর পুড়িয়া ভম্মিভুত হয়ে প্রায় ২ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা ক্ষতি সাধিত হয়। আমার চিৎকারে আমার পিতা মাতা প্রতিবেশী এগিয়ে এসে দেখে আগুন নিয়ন্ত্রন করে। এ ঘটনায় মাহবুব আলম খান বাদী হয় ১৫ জুন কোর্টে মামলা দায়ের করেন।