লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চররমনী মোহন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এর বিরুদ্ধে পশ্চিম চররমনী মোহন গ্রামে চোর সন্দেহে আবদুস শহিদ নামে এক জেলেকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা আবু ইউসুফ ছৈয়াল ও তার ছেলে আবু সুফিয়ানসহ ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১৫ জনসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে লক্ষ্মীপুর সদর থানায় হত্যা একটি মামলা দায়ের করেছে নিহতের স্ত্রী কুলছুম বেগম।
পরিবারের অভিযোগ, সোমবার (১৪ জুন) রাত ১০টার দিকে আবদুস সহিদ তার শ্বশুরবাড়ি থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। ওই এলাকার একটি খালের পাড়ে আসলে তাকে গণধোলাই দেয় কয়েকজন স্থানীয় লোক। স্থানীয় আবদুল হক লাড়ীর ঘরে চুরির অভিযোগে আবদুস শহিদকে আটক করে চেয়ারম্যান ইউসুফ ছৈয়ালের ছেলে আবু সুফিয়ানের নেতৃত্বে নির্যাতন ও মারধর করা হয়। পরে মৃত ভেবে তাকে একটি সুপারী বাগানে ফেলে রাখা হয়েছে।
পরদিন মঙ্গলবার (১৫ জুন) সকালে এলাকাবাসীর মাধ্যমে পরিবারের লোকজন মুমুর্ষ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে, সেখানে তার অবস্থা অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎস্যার জন্য নোয়াখালীর হাসপাতালে রেফার্ড করেন।হাসপাতালে নেওয়ার পথে বুধবার (১৬ জুন) দুপুরে তার মৃত্যু হয়। রাতেই নিহতের স্ত্রী সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
নিহত আবদুস শহিদের মা ছকিনা বেগম অভিযোগ করে জানান, তার ছেলেকে চুরির অপবাধ দিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তার ছেলে চুরি করেনি। মিথ্যা অপবাধ দিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান আবু ইউসুফ ছৈয়াল ও তার ছেলে আবু সুফিয়ানের নেতৃত্বে ২৫/৩০ জন লোক শহিদকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তিনি।
এ ব্যাপারে জেলা পুলিশ সুপার ড. এএইচএম কামরুজ্জামান জানান, আবদুস শহিদ হত্যাকান্ডের ঘটনায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ ২৭জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এটি পরিকল্পিত হত্যা- নাকি চুরির করার সময় গণপিটুনিতে মারা গেছে, তা নিয়ে তদন্ত চলছে।