প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন চরম অবস্থানে আছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ না থাকলে সাথে সাথে ভোটগ্রহণ বন্ধ হয়ে যাবে। কোন ত্রুটিযুক্ত নির্বাচন করা হবে না, নিরপেক্ষ নির্বাচন করা হবে।
বুধবার (১৬ জুন) দুপুরে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে এক মত বিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি। এর আগে আগামী ২১ জুন অনুষ্টিতব্য লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ উপ-নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিজাইডিং অফিসার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের দিক নির্দেশনা দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো. আনোয়ার হোছাইন আকন্দ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের আইডিইএ প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল কাশেম মো. ফজলুল কাদের, যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহমেদ খান, পুলিশ সুপার ড. এ এইএম কামরুজ্জামান, রিটার্নিং অফিসার দুলাল তালুকদার প্রমুখ।
সিইসি কে এম নুরুল হুদা বলেন, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ দায়িত্ব পালনের বিষয়ে নির্বাচন সংশ্লিস্টদের সাথে আলোচনা করা হয়েছে। সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন পরিচালনার জন্য কমিশন যা যা করার তা করবে। ভোটে কারচুপি হওয়ার সুযোগ নেই। ইভিএম (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) পদ্ধতিতে এখানে (লক্ষ্মীপুর-২ আসন) ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এতে একজনের ভোট আরেকজন দেওয়ার সুযোগ নেই। স্বচ্ছভাবে ভোটগ্রহণ এবং গননা করা হয়। একটি ভোট নিতে সর্বোচ্চ ৩০ সেকেন্ড সময় লাগে।
তিনি বলেন, ভোটে কারচুপি হলে প্রার্থীর সুযোগ আছে আইনের আশ্রয় নেওয়ার। ভোট গ্রহণে যদি অনিয়ম হয়, প্রিজাইডিং অফিসার বা রিটার্নিং অফিসার ভোট গ্রহণ বন্ধ রাখতে পারবে। নিরপেক্ষ ব্যক্তিরা (লক্ষ্মীপুরের প্রশাসন) যেখানে আছেন, সেখানে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তারা কাজ করছেন। এছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। সাংবাদিকরা সহায়ক শক্তি, আমাদের ভুল ভ্রান্তি হলে আপনারা (সাংবাদিক) ধরিয়ে দেন।