লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগর উপজেলার ৯নং তোরাবগজ্জ ইউনিয়নে ৭নং ওয়ার্ডে নৌকার নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর ও নৌকার সমর্থক এর উপর অতর্কিত হামলা।
জানা যায় রোববার ১৩ই জুন বিকেলে ৯নং তোরাবগঞ্জ ৭ নং ওয়ার্ডে নৌকা সমর্থকের লোকজন নৌকার মার্কায় অফিসে বসে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময়, স্বতন্ত্র প্রার্থী ঘোড়া প্রতীক ফয়সাল আহমেদ রতন চেয়ারম্যান ওতার ক্যাডার বাহিনী মটরসাইকেল দিয়ে এসে রড,হকিস্টিক, রামদা,নিয়ে নৌকার নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করে ও সমর্থকদের উপর অতর্কিত হামলা করে তাদেরকে রক্তাক্ত জখম করেন।
রোববার (১৩ জুন) বিকেলে তোরাবগঞ্জের চরপাগলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে বিকেলে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) পুদম পুষ্প চাকমা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
আহতরা হলেন আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থক নাছির, সোহেল হোসেন, রুবেল হোসেন ওদেরকে উদ্ধার করে কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, মির্জা আশ্রফুল জামান রাসেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান প্রার্থী ফয়সাল আহমেদ রতন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
মির্জা আশরাফুল জামাল রাসেল জানান, ৯নং তোরাবগঞ্জে ৭ নম্বর ওয়ার্ডে তার নির্বাচনী কার্যালয়ে নেতাকর্মীরা বসে আড্ডা দিচ্ছিল। এ সময় কয়েকটি মোটরসাইকেল নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী রতন চেয়ারম্যান ও তার বাড়াটে গুন্ডা বাহিনী নিয়ে নৌকার সমর্থক এর উপর অতর্কিত হামলা চালায়। একপর্যায়ে রতনসহ তার লোকজন নির্বাচনী কার্যালয়ে কয়েকজন কে পিটিয়ে আহত করেন।
এ বিষয়ে ফয়সল আহমেদ রতন চেয়ারম্যানের সাথে বারবার যোগাযোগ করেও তার বক্তব্য নিতে ব্যর্থ হন।
কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে এসি ল্যান্ড ও পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। উভয়পক্ষের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন কর্মকর্তা কিংবা পুলিশের কাছে কেউই অভিযোগ করেনি। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে।