ব্যাংকের ঋনের কমিশনের দুর্নীতিতে শত শত কোটি টাকা ও সম্পদ অর্জন করেন কাশেম।
অনুসন্ধানে জানা যায়,লোহাগাড়া থানার আধুনগর সিপাহীর পাড়ার মৃত আবদুর রশিদের ছেলে মোহাম্মদ আবুল কাশেম,কয়েক বৎসর পুর্বে কিছুই ছিলোনা। কোন চাকরী বা ব্যবসা করতেন না। গত কয়েক বৎসরে বর্তমান ক্ষমতাসীন দলীয় প্রভাবশালী কিছু নেতার নাম ব্যবহার করে,নোমান গ্রুপের প্রতিষ্ঠান জাবের-জুবাইয়ের ফ্রেব্রিক্স,নাইস ডেনিম,নোমান টেরি টাওয়েল,নাইস ফ্রেব্রিকস,সাদ টেক্সটাইল,নোমান টেক্সটাইল এবং গুলশান অফিস নুরুল ইসলাম হাউসসহ আরো কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানের নামে সোনালী ব্যাংক,রুপালী ব্যাংক,অগ্রনী ব্যাংক,জনতা ব্যাংক,বেসিক ব্যাংকের হেড অফিসের ম্যানেজারদের সাথে জোগসাজশের মাধ্যমে অবৈধভাবে মোটা অংকের কমিশনের বিনিময়ে,নোমান গ্রুপের তথ্য গোপনের মাধ্যমে নোমান গ্রুপের একই জায়গা এবং একই শিল্প প্রতিষ্টানের নামে উপরে উল্লেখিত সরকারি ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা ঋন নেন।
যা বাংলাদেশ সরকারের অর্থনীতির জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
এছাড়াও নোমান গ্রুপের আরো অন্যান্য শিল্প প্রতিষ্ঠান দেখিয়ে বেসরকারি ব্যাংক থেকেও জালিয়াতি তথ্য গোপনের মাধ্যমেও হাজার কোটি টাকা ঋন নেন,যা প্রতিষ্টানের মুল্য থেকে অনেক গুন বেশি। কোন সময় নোমান গ্রুপ দেউলিয়া ঘোষিত হইলে দেশের অনেক প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংক বন্ধ হওয়ার উপক্রম হবে বলে জানা যায়।
অনুসন্ধানে আরো জানাযায়, কাসেমের সাথে রাকিব নামে এক লোক যোগ হয়ে সেও এই ব্যাংক দুর্নীতির অনিয়মে রাতারাতি বড় লোক হয়ে অনেক টাকা পয়সা গাড়ী বাড়ীর মালিক হয়ে যায়। অন্যদিকে কাশেম এই ব্যাংক গুলোর মোটা অংকের কমিশনের দুর্নীতি ও অন্যান্য চাঁদাবাজীসহ আরো অনেক অনিয়মের টাকায় রহস্যজনকভাবে রাতারাতি আংগুল ফুলে কলাগাছ বনে গিয়ে শত শত কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে কাসেম থেকে আবুল কাসেম চৌধুরী বলে নিজেকে পরিচয় দেন।
অথচ তিনি বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের কোন পদ পদবীতে নেই। তিনি রুপগঞ্জের ভুলতা গাউছিয়া মার্কেটে গ্রাউন্ড ফ্লোরে ১০/১২টা দোকান এর মালিক, যার গুলিস্তান ফুলবাড়িয়া জাকির সুপার মার্কেট ও ফুলবাড়িয়া সিটি সুপার মার্কেটে কয়েকটা দোকান,যার অনুমানিক মুল্য ২কোটি ৫০ লক্ষ টাকা।ধানমন্ডিতে কলাবাগানে অত্যাধুনিক বিশাল ফ্ল্যাট যার অনুমানিক মুল্য ২ কোটি টাকার উপরে।
বান্দরবান জেলার লামা উপজেলার আজিজনগর ষ্টেশনে অবস্থিত রয়েল টেক্সটাইল লিমিটেড হঠাৎ সে প্রতিষ্ঠানে কোটি কোটি টাকার অত্যাধুনিক মেশিন এবং সেখানে বিশাল ৪ তলা বিশিষ্ট নবনির্মিত অত্যাধুনিক দুটি মার্কেট রয়েল মার্কেট ও কাসেম শপিং কম্পেলেক্স।
বিশাল গরুর ফার্মসহ সব মিলিয়ে যার অনুমানিক মুল্য শত কোটি টাকার উপরে । তিনি লেন্ড ক্রুজার প্রাডু ও রাড়ু সহ বিভিন্ন নতুন মড়েলের নিত্য-নতুন গাড়ি নিয়ে চলা-ফেরা করেন। নিজ গ্রামে চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় আধুনগর সিপাহীর পাড়ায় লোক দেখানো অনেক অর্থ খরচের মাধ্যমে বিরাট মাদ্রসা ও বাড়ী নির্মানকাজ চলমানসহ আরো নামে বেনামে অনেক অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ব্যাংক ব্যালেন্স রয়েছে যার কোন হিসাব নেই বলে জানা যায়।
সাংবাদিকদেরকে স্থানীয় কিছু সচেতন মহল জানান কাসেম আগে কোন টাকা পয়সা ধন সম্পদ, গাড়ী-বাড়ীর মালিক ছিলনা সত্য, কিন্ত সে বর্তমানে বড় লোক হয়ে এলাকায় অনেক টাকা পয়সা দান সদকা করে এটিও সত্য।কাসেমের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই বিষয়ে কিছুই মন্তব্য করতে রাজী হন নাই।সরকারি ব্যাংকের ঋনের কমিশনের দুর্নীতিতে শত শত কোটি টাকা ও অবৈধ সম্পদ অর্জন করেন চট্রগ্রামের লোহাগাড়ার কাশেম নামে এক লোক।