শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৩১ অপরাহ্ন

কাজিপুরে সুদ ও দাদন ব্যবসায়ী হামিদের ফাঁদে নিঃস্ব শত শত পরিবার।

মোঃ কোরবান আলী,কাজিপুর থেকেঃ / ৯৪১ বার পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : সোমবার, ১৪ জুন, ২০২১

কাজিপুরে দাদন ব্যবসায়ী হামিদের সুদের কারবারের ফাঁদে পড়ে সর্বশান্ত প্রায় কয়েক’শ পরিবার। হামিদ উপজেলার চালিতাডাঙ্গা ইউনিয়নের সাতকয়া গ্রামের মৃত আবুল মন্ডলের পুত্র। সাধারণ মানুষদের দারিদ্র্য ও অসহায়ত্বের সুযোগে ঋণ দেওয়ার সময় সাদা চেকে সইসহ হাতিয়ে নেয় জমির দলিল। সুদের টাকা দিতে না পারলে চেকে ইচ্ছামতো মোটা অঙ্কের টাকা বসিয়ে মামলা দিয়ে হয়রানি করে সাধারণ কৃষক থেকে রাতারাতি কোটিপতি বনে  গেছেন দাদন ব্যবসায়ী হামিদ। সরজমিন ও একাধিক ভূক্তভোগীর সূত্রে জানা যায়,

সমবায় ভিত্তিক কার্যক্রমের অনুমোদন ছাড়াই দীর্ঘ দিন ধরে ব্যক্তিক ভাবে চড়া সুদে অবৈধ ভাবে চলছে হামিদের এই সুদের কারবার। সুদসহ টাকা পরিশোধের পরেও চেক ফেরত না দিয়ে উল্টো ইচ্ছামত টাকার পরিমাণ বসিয়ে হয়রানির অসংখ্য অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সুদের জালে আটকে অনেকেই হারিয়েছে বসত ভিটা, আবার অনেকে ছেড়েছে এলাকা। হামিদের অনুমোদনহীন অবৈধ সুদের কারবার ও ঋণের নামে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয় সচেতন মহল।

 ভূক্তভোগী ছালাভরা গ্রামের মৃত সেকেন্দার আলী’র পুত্র ঝুট ব্যবসায়ী আশাদুল আলম জানান, কয়েক বছর আগে ব্যবসায়িক জরুরি প্রয়োজনে আব্দুল হামিদের নিকট থেকে ৩’লক্ষ টাকা সুদ প্রদানের শর্তে খালি চেকে স্বাক্ষরের মাধ্যমে গ্রহণ করি। শর্তমত সুদসহ সমস্ত টাকা পরিশোধ করলেও চেক ফেরত না দিয়ে উল্টো নতুন করে আমার নিকট থেকে ৮’লক্ষ টাকা দাবি করে। 

শুধু আশাদুল আলম নয় আব্দুল হালিম, নাসির উদ্দীন সহ  অসংখ্য মানুষের রয়েছে হামিদের বিরুদ্ধে এ রকম প্রতারণার অভিযোগ।

অভিযোগের বিষয়ে দাদন ব্যবসায়ি আব্দুল হামিদ বলেন, আমি সাধারণত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের টাকা ঋণ স্বরুপ দিয়ে থাকি খালি চেকে স্বাক্ষর নিয়ে। চেকে স্বাক্ষর থাকলে পাওনা টাকা তুলতে সহজ হয়। কেননা চেকের মামলাগুলো অনেক জটিল হয়।

খালি চেকে স্বাক্ষর নিয়ে পরে ইচ্ছেমত টাকার পরিমাণ বসিয়ে নেওয়ার বিষয়ে অকপট স্বীকার করে  তিনি বলেন, চেকের মামলা দায়ের করলে টাকার পরিমাণ কিছুটা বাড়িয়ে দেওয়া হয়। কেননা মামলা চলমান রাখতে বিভিন্ন ধরনের খরচ যেমন  উকিলের ফ্রি, যাতায়াত খরচ এসব কিছু যোগ করে টাকার পরিমাণ বসিয়ে দেওয়া হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর