লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের সুতার গোপ্টা মহাসড়কের পূর্ব পাশে চর-মনসা গ্রামে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমি দখল করে সরকারি বেড়ির খাল থেকে মাটি কেটে ভিটা করে টিন শেড ঘর নির্মাণ করার অভিযোগ পাওয়া যায় ।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় যে, স্থানীয় খোকনেগো বাড়ির আলি আহম্মেদ এর ছেলে প্রভাবশালী মো. জহির ও তার শ্যালিকা রোকেয়া বেগম রাতের আঁধারে বেড়ির খালের পাশে পানি উন্নয়ন বোর্ড ( পাউবো),র জমি কোনো অনুমতি ছাড়া প্রভাব বিস্তার করে দখল করছেন । স্থানীয় মো. জহির ও তার শ্যালিকা রোকেয়া বেগম সরকারী আইনের কোনো তোয়াক্কা না করে গায়ের জোরে রাতের আধাঁরে সরকারি জমি দখল করে গত কয়েকদিন যাবৎ এ টিন শেড ঘর নির্মাণ করছেন ।
নাম না বলা স্থানীয় কয়েকজন লোক গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, জহির যখন সরকারি খাল থেকে মাটি কাটে তখন আমরা তাকে নিষেধ করি, কিন্তু, সে আমাদের কথা না শুনে মাটি কেটে সরকারি খালকে গর্ত করে ফেলেছে, এখন এ বর্ষা মৌসুমে মাটি কেটে খাল গর্ত করার কারণে রাস্তার পাড় ভেঙ্গে খালে পড়ে, এবং, খালের পাশে থাকা অন্যান্য ঘর বাড়িরও ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে ।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মো. জহির এর কাছে জানতে গেলে তিনি বলেন, এ জমিতে আমার আগে একটি ছোট টিন শেড ঘর ছিলো, পরে আমি সেটা ভেঙ্গে জায়গা বাড়িয়ে বড় করে নতুন ঘর নির্মাণ করি, টিন শেড ঘর করবো, মাটি আনবো কোত্থেকে? তাই সরকারি খাল থেকে মাটি কেটে ভিটা করেছি, ঘর এবং, মাটি কেটে ভিটা করার জন্য আমি কারোই কাছ থেকে কোনো অনুমতি আনিনি ।
পাউবো,র জমি হলে পাউবো,র সাথে বুঝবো, আপনার সমস্যা কি? এখানেই শেষ নই! কিছুক্ষণ পর তিনি সময় সংবাদ সাংবাদিককে ফোন করে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করার চেষ্টা করে, পরিশেষে সময় সংবাদ সাংবাদিককে ভক্ষক দিয়ে দমানোর জন্য শুরু হয় একের পর এক তালবাহানা।
এ বিষয়ে লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ফারুক আহমেদ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কেউ যদি অবৈধ ভাবে সরকারি সম্পত্তি দখল করে থাকে তাহলে আমরা তাকে প্রথমেই বাধা প্রধান করে থাকি, এরপরেই নোটিশ করে চিঠি দিয়ে তাকে ৩ থেকে ৭ দিনের মধ্যে সব কিছু সরিয়ে নিতে বলা হয়, তার পরেই আমরা ভেঙ্গে ফেলার জন্য আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়ে থাকি।
সুতরাং, অপরাধী যতই ক্ষমতাবান লোক হোক না কেন, আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নই, অপরাধ করলে তাকে শাস্তি পেতেই হবে । সরকারি সম্পত্তি রক্ষা করতে আমরা কঠোর অবস্থানে আছি ।