সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে নিমগাছীতে গৃহবধুর রহস্য মৃত্যুর পর থেকে লাশ উদ্ধারের ঘটনা নিয়ে থানা পুলিশ ব্যাপক তৎপর। নিহত গৃহবধুর পুত্রের বর্ণনা আমার মায়ের কোন শত্রু ছিল না। তবে মটর সাইকেল র্দূঘটনায় বুকের ব্যাথার কথা বারবার সে বলেছে।
সরেজমিনে তথ্য অনুসন্ধ্যানে জানাযায়, উপজেলার সোনাখাড়া ইউনিয়নের তাঁতীপাড়া গ্রামে ২৫ বছর পূর্বে ৪ শতক বাড়ীর জায়গা ক্রয় করে গৃহবধু তার স্বামী সন্তোষ ও পুত্র সুমনকে নিয়ে বসবাস করেআসছিল।
গত ১ সপ্তাহ পূর্বে উক্ত গৃহবধু তার একমাত্র পুত্র সুমনকে সাথে দিয়ে আবুদিয়া গ্রামে যেতে মটর সাইকেল র্দুঘটনার কবলে পড়ে। এতে ঐ গৃহবধু আহত হয়ে স্থানীয় ডা: অসীমের কাছে চিৎকিসা সেবা নেয়। কিন্তু গৃহবধুর বুকের ব্যাথা কমছিল না।
এ পর্যায়ে মটর সাইকেল দূর্ঘটনার ১ সপ্তাহ পর গত ৪ মে শক্রবার রাত্রি ৮টার দিকে স্থানীয় লিটন চন্দ্র গুনের পুকুরে মাছ পাহারা দিতে গিয়ে গৃহবধুর লাশ দেখতে পেয়ে সাথে সাথে থানা পুলিশকে খবর দেয়।
রায়গঞ্জ থানার ওসি সহিদুল ইসলাম লাশটি ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে। গৃহবধুর অপমৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে থানা পুলিশ পুকুর পাহারাদার জয় ঘোষ ও পুকুর মালিকের বড় ভাই সাবেক ইউপি সদস্য রাম কৃষ্ণ গুন সহ ৩ জনকে জিজ্ঞাসা বাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে।
তাদের জিজ্ঞাসা বাদে পুলিশ কোন তথ্য পায়নি।পুলিশ তাদের ছেড়ে দেন।অপমৃত্যুর ৫ দিন পর বুধবার সকাল ১১টায় স্থানীয় মিডিয়া কর্মী সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
এ সময় গৃহবধুর ছেলে সুমন কুমার দত্ত মায়ের অপমৃত্যুর কারণ জানতে চাইলে অত্যান্ত আবেগে জানায় মায়ের কোন শত্রু ছিল না।মাকে কেউ হত্যা করবে আমি তা বিশ্বাস করিনা। মা মাঝে মধ্যে ঐ পুকুর পাড়ে যেত।হয়তবা হৃদ যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যেতে পারে। তবে ময়না তদন্তের রির্পোট পেলে সবকিছু জানা যাবে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় বিজয় কুমার পোদ্দার, সুব্রত চন্দ্র ও সুজন চন্দ্র সহ একাধিক প্রতিবেশিদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা গৃহবধুর বিষয়ে কিছুই বলতে পারেনি।
গৃহবধুর প্রতিবন্ধি স্বামী সন্তোষ কুমার কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, কে আমাকে সেবা যত্ন করবে। আমার সবকিছু হারিয়ে গেল।