রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে লম্পট চাচা শ্বশুরের বিরুদ্ধে ভাতিজা বউকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গৃহবধূ বাদী হয়ে চাচা শ্বশুড়ের বিরুদ্ধে বালিয়াকান্দি থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছে।। তবে মামলা দায়েরের ১০ দিন পার হলেও আসামিকে গ্রেথফতার করা সম্ভব হয়নি।
লম্পট চাচা শ্বশুর জেলার বালিয়াকান্দির বহরপুর ইউপি’র মাতাল খালি গ্রামের আছির উদ্দিন ফকিরের ছেলে ইউনুস আলী ফকির।
ধর্ষিত গৃহবধূ জানান, তারা খুব হতদরিদ্র মানুষ । এ সুযোগে চাচা শ্বশুর ইউনুস ফকির গত ২৭ মে দুপুরে আমাদের বাড়িতে এসে আমার দিকে কু-দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলেন,তোর স্বাস্থ্য আগের চেয়ে অনেক খারাপ হয়ে গেছে চিকিৎসা দরকার। আমি কবিরাজি চিকিৎসা জানি আমি তোকে গাছের ওষুধ দেবো এই বলে আমাকে বাড়ির পেছনের ঘাস ক্ষেতে নিয়ে গিয়ে আস্তে করে বলেন তোর একটা ছবি সহ তোর ও স্বামীর নাম খাতায় লিখে নিয়ে আয়।একটা ওষুধ দিবো তুই ভালো হয়ে যাবি । লম্পট চাচা শ্বশুরের কথা সরল মনে বিশ্বাথস করে কাগজে নিজের ও স্বামীর নাম লিখে ঘাস ক্ষেতে যাই ।
এসময় ওই কাগজ দেবার সঙ্গে সঙ্গে লম্পট চাচা শ্বশুর আমার মুখ চেপে ধরে ঘাস ক্ষেতে শুয়াইয়ে ফেলে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক আমাকে ধর্ষণ করে । পরে বাড়ি ফিরে ঘটনার দিনই থাথনায় মামথলা দায়ের করি ।
এ বিষয়ে বালিয়াকান্দি থাথনার ওসি তারিকুজ্জামান জানান, ওই গৃহবধূকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়েছে। তবে ঘটনার পর থেকেই ইউনুস আলী ফকির আথত্মগোপনে করে পালিয়ে রয়েছে। এ জন্য তাকে গ্রেথফতার করা সম্ভব হয়নি। তবে তাকে গ্রেথফতার চেষ্টার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।