সিরাজগঞ্জে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে পুলিশ কিলারেন্স,পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স ও পুলিশ ভেরিফিকেশনে সাধারন মানুষের নিকট থেকে অসাধু উপায়ে টাকা গ্রহনের অপরাধে দালাল চক্রের ৭ সদস্যকে আটক করেছে সিরাজগঞ্জ ডিস্ট্রিক্ট পুলিশের সদস্যরা।
পুলিশ সুপার হাসিবুল আলম, বিপিএম সিরাজগঞ্জ জেলায় যােগদানের পর হতে থানা/ফাড়ি/ডিবি/ডিএসবিসহ পুলিশের সকল ইউনিটে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন এবং সকল ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা নিশ্চিতে মােটিভেশনের মাধ্যমে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করেছেন।
এরই ধারাবাহিকতায় জেলা বিশেষ শাখা (ডিএসবি) দীর্ঘদিন ধরে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স, পাসপাের্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স ও চাকুরীর ভেরিফিকেশনসহ অন্যান্য তদন্তের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করেছেন। কিন্তু কতিপয় কিছু প্রতারক চক্র ও পাসপাের্ট দালালরা পুলিশ ভেরিফিকেশন করে দেওয়ার কথা বলে সাধারণ সেবা গ্রহিতার নিকট থেকে অসাধু উপায়ে পুলিশের নামে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।
উপরোক্ত তথ্যের ভিত্তিতে জেলা বিশেষ শাখা ও জেলা গােয়েন্দা শাখাকে যৌথভাবে গােয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে প্রতারক চক্র ও পাসপাের্ট দালালদের চিহ্নিত করে তাদেরকে দ্রুত গ্রেফতার করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়। জেলা বিশেষ শাখা ও জেলা গােয়েন্দা শাখা যৌথভাবে দীর্ঘদিন ধরে এই প্রতারক চক্রের সদস্যদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারের চেষ্টা করে আসছিল।
গত ০৭/০৬/২০২১ খ্রিঃ দুপুর ১৪.০০ ঘটিকার সময় গােপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা বিশেষ শাখা ও জেলা গােয়েন্দা শাখা শহরের বিভিন্ন স্থানে যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করে মোঃ ইজ্জত আলীর ছেলে মােঃ মােক্তার রহমান সুমন (৩২), মোঃ আসলাম উদ্দিন সরকারের ছেলে মােঃ শাকিল সরকার (৩৬), মৃত তারা মিয়ার ছেলে মােঃ সােহেল (২৯), মোঃ খলিলুর রহমানের ছেলে আব্দুল কাইয়ুম(৩৩) ও কাউছার(২৪), আব্দুল হাইয়ের ছেলে বাবলু শেখ(৪০) সর্বসাং দিয়ার ধানগড়া সিরাজি রোড,বড়হামকুড়িয়া গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে মােঃ সুমন (৩৮) হতে আটক করা হয়।
আটককৃতরা প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে যে, দীর্ঘদিন ধরে তারা পরস্পর যােগসাজসে পাসপাের্ট ও পুলিশ ক্লিয়ারেন্স দালালী ও প্রতারণা চক্রের মাধ্যমে এই কাজ করে আসছে। তাদের কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ইলেকট্রনিক ডিভাইস, নকল সীল, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কর্তৃক প্রদত্ত নাম ঠিকানা বিহীন
চারিত্রিক/নাগরিক সনদপত্র, বিভিন্ন গ্রাহকের পাসপাের্ট ডেলিভারী শ্লীপ ও পাসপাের্টসহ অন্যান্য সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে সিরাজগঞ্জ থানায় দন্ড বিধি আইনের ৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/৩৪ ধারা তৎসহ বাংলাদেশ পাসপাের্ট অধ্যাদেশ-১৯৭৩ এর ১১(১)(ঘ) ধারায় মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এই প্রতারণা চক্রের সাথে আর কে কে জড়িত আছে তা তদন্ত করে বের করে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়ােজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আজ মঙ্গলবার (০৮ জুন) সকালে সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার কার্যালয় এর সম্মেলন কক্ষে পুলিশ সুপার হাসিবুল আলম, বিপিএম এ সংক্রান্তে সংবাদ সম্মেলন করেন।
এ সময় জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ সহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।